এবার রাজশাহীতে রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্যের মাদক সেবনের ভিডিও ভাইরাল

দেশের খবর
Spread the love
Print Friendly, PDF & Email
image_pdfimage_print

নিজস্ব প্রতিবেদক :
পশ্চিম রেলওয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে পালন করেন পুলিশের সাথে আনসার সদস্যরা। এসব নিরাপত্তাবাহিনীর কারণে কোনো যাত্রী প্লাটফোমে মাদক জাতীয় বিড়ি, সিগারেট পান করলে তাদের হেনস্তা করা হয়। এমন কি তাদের ধরে জরিমানা পর্যন্ত করার রেকর্ড রয়েছে। কিন্তু এসব নিরাপত্তা কর্মীদের মধ্যে অধিকাংশই মাদকাশক্ত।

এরই মধ্যে রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্যের বিরুদ্ধে রেলের এক দপ্তরে বসে মাদক সেবনের অভিযোগ উঠছে। সম্প্রতি এমনই বেশ কয়েকটি ভিডিও গণমাধ্যম কর্মীদের হাতে এসে পৌঁছিছে।

মাদকসেবনের অভিযুক্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা হলেন, সিপাহী সাদ্দাম হোসেনে ও শাহিনুর রহমান । তারা দুজনেই রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে আরবিআর শাখার নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত রয়েছেন।

তাদের মাদক সেবনের বেশ কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যায়, (আরএনবি) ওই দুই নিরাপত্তা কর্মী রেলওয়ে ভবনের একটি দপ্তরে বসে ইয়াবা সেবন করছে। প্রথম একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সাদা কাগজের ওপর মেঝেতে সারিবদ্ধভাবে বেশ কয়েকটি ইয়াবা সেবনের জন্য সাজিয়ে রাখা হয়েছে ।

এর কিছু দূরে নিরাপত্তা কর্মী সাদ্দাম হোসেন ইয়াবা সেবন করছে। পাশের আরেকটি চেয়ারে বসে মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন সিপাহী শাহিনুর রহমান। এরপর তার কথা বলা শেষ হলে দুজনই একসাথে মাদকআড্ডায় মেতে উঠে।

বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে তাদের এমন মাদক সেবনের কর্মকাণ্ড। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক (আরএনবি) নিরাপত্তা বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য জানান, সাদ্দাম ও শাহিনুর তারা নিয়মিত মাদক সেবনের সাথে জড়িত। প্রায় সময়ই তারা রেলওয়ের ভবনের বিভিন্ন (রুমে) রাতে মাদকের আড্ডা বসায়। এতে যোগ দেয় অনন্য বহিরাগতরাও। তাদের এমন কর্মকাণ্ড চললেও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারেনা বলে অভিযোগ তাদের।

ভিডিও সত্যতা জানতে (আরএনবি)’র নিরাপত্তা কর্মী অভিযুক্ত (সিপাহী) শাহিনুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই ঘটনা সত্যতা স্বীকার করেন এবং প্রতিবেদককে ম্যানেজের চেষ্টা চালান।

অপর অভিযুক্ত সাদ্দাম হোসেন কে মুঠোফোনে কল দেয়া হলে , তিনি তার ফোনটি বন্ধ করে দেন।

এ বিষয়ে রাজশাহী রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল (আরএনবি) শাখা চিফ কমান্ডার আসহাবুল ইসলাম জানান, যদি এমন ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং সাসপেন্ড করা হবে। এমনকর্মকাণ্ডে ছাড় দেয়ার কোন সুযোগ নেই বলে জানান এই কর্মকর্তা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *