নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশের দক্ষিন-পূর্বাঞ্চলে সংঘটিত সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় আক্রান্তদের মাঝে ত্রাণ প্রেরণ অব্যাহত রেখেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। গত ২৯ আগস্ট(বৃহস্পতিবার) ত্রাণের ৮ম ট্রাক ত্রাণ নিয়ে বন্যাদুর্গত এলাকায় পৌছে গেছে এবং ৯ম ট্রাকটি প্রেরণেরপ্রস্তুতি চলছে।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানা গেছে, ইতোপূর্বে প্রেরিত প্রতিটি ট্রাকে ত্রাণ হিসেবে যাচ্ছে, ১২০০ থেকে ১৪০০ প্যাকেট শুকনো খাবার, ১৫০০ থেকে ২০০০ বোতল পানি, ঔষুধ ও পোশাক সামগ্রী।
গত ২১ আগস্ট বন্যাকবলিত এলাকায় উদ্ধার অভিযান ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার ঘোষণা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। শিক্ষার্থীদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ত্রাণ দিতে রাজশাহীর বিভিন্ন সংগ্রহ বুথে জনতার ঢল নামে। বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা ত্রাণ সংগ্রহ বুথ বসিয়ে বিভিন্ন সময় ত্রাণ সামগ্রী ও নগদ অর্থ সংগ্রহ করেছেন। এমনকি ছোট শিশুরা তাদের জমানো অর্থ বন্যার্তদের জন্য দান করেছে। রাজশাহীর সর্বস্তরের মানুষ স্বপ্রণোদিত হয়ে ত্রাণ সামগ্রী ছাত্রদের কাছে দিয়ে যান। কেউ নগদ অর্থ, কেউ খাবার আবার কেউ পোশাকও দিয়েছেন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাফল্যের পর বন্যা কবলিতদের সহায়তার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতিই ভরসা করছেন রাজশাহীর সাধারণ মানুষ। তারই প্রেক্ষিতে রাজশাহীর জনসাধারণ, বিভিন্ন উপজেলা ভিত্তিক ছাত্র সংগঠন, বিভিন্ন প্রাইভেট কোম্পানিগুলোকেও ত্রাণ ও নগদ অর্থ প্রদান করতে দেখা গেছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্য বিরোধী ছাত্রআন্দোলনের সমন্বয়কদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এ পর্যন্ত আট ট্রাক ত্রাণ সামগ্রী প্রেরণ করা হয়েছে, ৯ম ট্রাক প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে।ত্রাণ হিসেবে প্রেরণ করা হয়েছে চাল, ডাল, চিনি, চিড়া, মুড়ি, পানি, শুকনো খাবারসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ। শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সকল বয়সের মানুষের জন্য বিভিন্ন ধরনের পোশাক প্রেরণ করা হয়েছে। তাছাড়া একদল উদ্ধার কর্মীও প্রেরণ করা হয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা তাদের কাজ সেখানে চলমান রেখেছে।সমন্বয়করা আরও জানান ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লাসহ যে সকল এলাকা বন্যায় অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সে সকল এলাকায় সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ত্রাণ প্রেরণ করা হয়েছে।
ত্রাণ গ্রহণ কার্যক্রম এখনো চলমান রয়েছে উল্লেখ করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ওত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যতদিন পর্যন্ত না জানানো হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত ত্রাণ গ্রহণ কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।