বগুড়া শেরপুরে হাইওয়ে পুলিশের হাতে সাংবাদিক শাওন লাঞ্ছিত

Spread the love
Print Friendly, PDF & Email
image_pdfimage_print

বগুড়া (শেরপুর) প্রতিনিধি:
বগুড়ার শেরপুর হাইওয়ে থানার এসআই চন্দন সাংবাদিক কে লাঞ্ছিত করেছে। সোমবার (০৮ জুলাই) দুপুরে শেরপুর হাইওয়ে থানা চত্ত্বরে ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক ডেল্টা টাইমস্ পত্রিকার শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি মোঃ শহিদুল ইসলাম শাওন ব্যক্তিগত কাজে যাওয়ার পথে এসআই চন্দনের হাতে মারধরের শিকার হন। জানা যায়, ঐদিন সকাল ১১টার দিকে জাতীয় দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি সাংবাদিক জাহাঙ্গীর ইসলাম তার ব্যক্তিগত কাজে শেরপুর হাইওয়ে থানায় যান। মোটরসাইকেল নিয়ে থানার গেটে যাওয়ার সময় দায়িত্বরত সেন্ট্রি হাবিবা তাকে থামার জন্য ইশারা করেন। তিনি বুঝতে না পেরে মোটরসাইকেল থেকে নেমে সরাসরি থানা ভবনে ঢুকতে গেলে সেন্ট্রি হাবিবা বলেন, ‘ আপনি পাগল নাকি? ইশারা বোঝেন না?’। একথা শুনে তিনি এগিয়ে এসে বলেন, ‘এভাবে বলছেন কেন? আমি যে পাগল এটা প্রমাণ করতে পারবেন?’ একথা বলায় সেন্ট্রি হাবিবা রেগে গিয়ে বাক-বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। তার উচ্চবাচ্যে লোকজন এগিয়ে আসেন। এসময় মোঃ শহিদুল ইসলাম শাওন কাছে গিয়ে দুজনকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। তার মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এরপর সাংবাদিক জাহাঙ্গীর ইসলাম তার কাজ সেরে চলে যান। সাংবাদিক শাওন তার কাজের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। এর কিছুক্ষণ পর সেন্ট্রি হাবিবা থানা ভবনের ভেতরে যান এবং কিছুক্ষণ পর বের হয়ে আসেন। তারপর এসআই চন্দন এসে সাংবাদিক শাওনের শার্টের কলার ধরে টানাহেঁচড়া করে কিল ঘুষি দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। এ ঘটনা সাংবাদিকদের মধ্যে জানাজানি হলে ২০-২৫ জন সাংবাদিক শেরপুর হাইওয়ে থানায় গিয়ে অবস্থান নিয়ে ওসি হাসেমের কাছে বিচার দাবী করেন। পরে হাইওয়ে পুলিশ বগুড়া রিজিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার আলী আহমেদ হাশমী এসে ঘটনা বর্ণনা শুনেন তাদের সঠিক বিচারের ব্যাপারে আশ্বাস দেন।

এর আগে গত জুন মাসে আনন্দ টেলিভিশনের বগুড়া জেলা প্রতিনিধি বাঁধন কর্মকার কৃষ্ণ এসআই চন্দনের হাতে লাঞ্ছিত হন। তিনি জানান, গত মাসে এক আত্মীয়র চেকআপ শেষে বগুড়া থেকে শেরপুরে ফিরছিলাম। অপারেশনের রোগী হওয়ায় তাকে পাবলিক বাসে না নিয়ে সিএনজিতে আনা হচ্ছিল। সিএনজি শেরপুর হাইওয়ে থানার কাছে আসলে কনস্টেবল মেহেদী সিনএজিকে থামানোর সিগন্যাল দেয়। সিএনজি থামলে ড্রাইভারকে গাড়ি থানার ভেতর নিতে বলে । এ সময় আমি আমার পরিচয় দিয়ে বলি গাড়ী থানায় নিয়েন অসুস্থ রেগী আছে গাড়ীতে । রোগী নিয়ে দ্রƒত বাড়িতে যেতে হবে। তখন কনস্টেবল মেহেদী আমাকে বলেন, ‘ঐ মিয়া সাংবাদিক বলে দেশ কিনে নিয়েছেন নাকি? আপনি যা বলবেন তাই শুনতে হবে? । চলেন, আমার অফিসারের সাথে কথা বলেন!’ এরপর গাড়ি নিয়ে আমাকে থানার ভেতর যেতে বাধ্য করে। পরে, এসআই চন্দন তার সামনে থাকা চেয়ার পা দিয়ে ঠেলে আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলতে থাকে কিরে, মেহেদী! এসব ভূয়া সাংবাদিক ধরার জন্যই তো ডিজিটাল আইন তাই না? এ সময় কনস্টেবল মেহেদী চন্দনের ইশারায় বলেন, আপনার আইডি কার্ড দেখান? এসআই চন্দন বলেন, আইডি কার্ড আছে তো? নাকি, ভূয়া সাংবাদিক?পরে, হাইওয়ে ইনচার্জের সহায়তায় গাড়ি ছেড়ে দেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *