নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজশাহীর পবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক ফারুক হোসেন ডাবলু। আর মোহনপুর উপজেলায় নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর আফজাল হোসেন বকুল।
বুধবার রাতে ভোট গণনা শেষে পবার ইউএনও ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আবু সাহেল মোহাম্মদ হাসনাত এবং মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আয়শা সিদ্দিকা ফলাফল ঘোষণা করেন। এ দুই উপজেলার মধ্যে পবায় ভোট পড়েছে ৩৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং মোহনপুরে ৪৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ বলেও জানান তারা।
পবায় আনারস প্রতীকের প্রার্থী ফারুক হোসেন ডাবলু ৩৪ হাজার ৪৬২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি এমদাদুল হক পেয়েছেন ২৯ হাজার ৮৯৮ ভোট।
এছাড়াও জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াজেদ আলী খান মোটরসাইকেল প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ২২ হাজার ৫২২। ফারুক হোসেন ডাবলু আগে কখনও কোন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হননি। এবারই প্রথম উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন।
অপরদিকে, পবা উপজেলায় এবার ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম। তিনি টিউবওয়েল প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ৩৫৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কামরুজ্জামান টিয়া পাখি প্রতীকে পেয়েছেন ১৪ হাজার ৮৭৬ ভোট। এছাড়াও শহিদুল ইসলাম বই প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৮৭৫ ভোট, সারওয়ার আলম মানিক গ্যাস সিলিন্ডার প্রতীকে পেয়েছে ১২ হাজার ৪৯৭ ভোট এবং প্রদীপ কুমার সাহা মাইক প্রতীকে পেয়েছেন ১১ হাজার ১৯৩ ভোট।
অপরদিকে, পবা উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ছাত্রলীগ কর্মী পপি খাতুন। বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ২৪ হাজার ২৭৯ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চেন বানু হাঁস প্রতীকে পেয়েছেন ২২ হাজার ১৮ ভোট। এছাড়াও হাসানা খাতুন ফুটবল প্রতীকে ২১ হাজার ৫৪৫ এবং আরজিয়া বেগম কলস প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ২০ হাজার ১৯৬ ভোট।
মোহনপুরে আনারস প্রতীকের প্রার্থী আফজাল হোসেন ৩১ হাজার ১১৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আল মমিন শাহ গাবরু কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ২৬ হাজার ২৯৭ ভোট। আফজাল হোসেন প্রথমবার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন। এর আগে তিনি উপজেলার ঘাসিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এ ছাড়াও আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৮ হাজার ৩২৭, মোটরসাইকেল প্রতীকে এক হাজার ৬৫১ ভোট পেয়েছেন আলমগীর মোরশেদ ও দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে এক হাজার ৮৫৮ ভোট পেয়েছেন সাসেব ভাইস চেয়ারম্যান মেহবুব হাসান রাসেল।
এ উপজেলায় এবার ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বিন বেল্লাহ। টিউবওয়েল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩০ হাজার ৩৫৫ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাবিবুর রহমান তালা প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ১৭৬ ভোট। এছাড়াও চশমা প্রতীকে কবির হোসেন ৬ হাজার ৪৭২ ভোট, টিয়া পাখি প্রতীকে আব্দুর রউফ পেয়েছেন ৫ হাজার ৪৩৮ ভোট, উড়োজাহাজ প্রতীকে ৫ হাজার ৭৪ ভোট পেয়েছেন খোন্দকার মশিউর রহমান।
আর এ উপজেলায় পদ্ম ফুল প্রতীকের প্রার্থী হাবিবা বেগম ৪২ হাজার ৯৮৪ ভোট পেয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। ৮ হাজার ৩১৪ ভোট নিয়ে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী ডলি আক্তার।
এছাড়াও কলস প্রতীকে ৫ হাজার ৮৬৪ ভোট নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন রাবিয়া খাতুন, প্রজাপতি প্রতীকে ৬ হাজার ৯৯৮ ভোট পেয়েছেন সানজিদা রহমান, সেলাই মেশিন প্রতীকে ৩ হাজার ৯৩১ ভোট পেয়েছেন পলিরানী।