রাজশাহী কলেজের ক্যান্টিন-ডাইনিংয়ে পৌনে ২ লাখ টাকা বাকি ছাত্রলীগের নেতাদের

দেশের খবর
Spread the love
Print Friendly, PDF & Email
image_pdfimage_print

নিজস্ব প্রতিবেদক
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন। এই আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা হারানোর পর বেরিয়ে আসতে শুরু করে দলীয় নেতাকর্মীদের দুর্নীতি ও অনিয়মের খবর। সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিভিন্ন অপকর্ম।

রাজশাহী কলেজেও একক আধিপত্য রেখেছিল সংগঠনটি। দলটির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাস ও হল-সংলগ্ন এলাকার ক্যান্টিন-ডাইনিংয়ে বাকি খাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের পদধারী নেতারা ক্যান্টিন ও ডাইনিংয়ে ২০২১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৭০ হাজার টাকারও বেশি বাকি খেয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, রাজশাহী কলেজ ক্যান্টিন-ডাইনিংয়ে বকেয়া রেখে ছাত্রলীগের একটি দল পালিয়েছে। গত আড়াই-তিন বছর ধরে ক্যান্টিনে খেয়ে টাকা দেয়নি তারা। বাকি টানতে টানতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন লিজ নিয়ে ক্যান্টিন ও ডাইনিং চালানো ব্যবসায়ীরা।

ক্যান্টিন ও ডাইনিং পরিচালনাকারীরা জানিয়েছেন, রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক নেতাদের নামে বিপুল বকেয়া জমেছে। বিশেষ করে, বর্তমান ছাত্রলীগ সভাপতি রাশিক দত্তর নামে ৩ হাজার ৪৩০ টাকা, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম জাফরের নামে ১৭ হাজার ৯৯৫ টাকা এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাঈমের নামে ১১ হাজার ১৭৪ টাকা বকেয়া রয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য নেতাদের নামেও বেশ কিছু টাকা বাকি রয়েছে।

এ ছাড়া মুসলিম ছাত্রাবাসের ডাইনিংয়ে বকেয়ার পরিমাণ সবচেয়ে বেশি ১ লাখ ২০ হাজার টাকারও অধিক। এখানে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পিয়াসের নামে ৬০ হাজার টাকা, মেহেদি হাসান ১৫ হাজার ও রাফির নামে ১০ হাজার টাকা বকেয়া রয়েছে। এ ছাড়া ইমন, সিয়াম, সিজারসহ আরও অনেক নেতার নামে ২ থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত বাকি রয়েছে।

ক্যান্টিনের দায়িত্বে থাকা আবুল মাসুদ বলেন, বাকির খাতা লিখতে লিখতে আমি দিশেহারা। এগুলো নিয়ে অভিযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি। আমি অনেকবার অধ্যক্ষসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের বলেছি, কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।

বর্তমান হোস্টেল সুপার মো. গোলাম রাব্বানি জানান, দায়িত্ব গ্রহণের পরই বকেয়ার তথ্য কলেজ প্রশাসনকে জানিয়েছেন এবং দ্রুত বাকি আদায়ের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রাশিক দত্ত, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম জাফর, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুম মুবিন সবুজের মুঠোফোনে কল করে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

রাজশাহী কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ইব্রাহিম আলী বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, বিভিন্ন জনের মুখে শুনেছি। তবে উপদেষ্টা কমিটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *