বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি:
নাটোরের বড়াইগ্রামে চাঁদা না পেয়ে জেনী আয়ুর্বেদিক ল্যাবরেটরি নামের এক ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বন্ধ ও চাঁদা দাবীর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার বনপাড়ার একটি রেস্টুরেন্টে জেনী আয়ুর্বেদিক ল্যাবরেটরি ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে জেনী আয়ুর্বেদিক ল্যাবরেটরি পরিবারের সদস্য সুরাইয়া তানজিম মৌ ও জুবাইরা তাবাচ্ছুম জীম উপস্থিত ছিলেন।
সুরাইয়া তানজিম মৌ লিখিত বক্তেব্যে বলেন, উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের গড়মাটি নামক স্থানে অবস্থিত জেনী আয়ুর্বেদিক ল্যাবরেটরি প্রতিষ্ঠানে দুইশত ষাট জন শ্রমিক কাজ করে। কিছুদিন আগে ওই গ্রামের রওশন প্রামানিক ও সাইদুর রহমান সেন্টুসহ কয়েকজন আট লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। চাঁদা দিতে অস্কীকার করেলে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দিয়ে নিরাপত্তায় থাকা সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করে এবং প্রতিষ্ঠানের গেটে তালা দেয়। এছাড়াও মালামাল বহনকারী বেশ কয়েয়কটি পরিবহন রাস্তার পাশে ফেলে দেয়। প্রতিষ্ঠানের মহিলা সহ সকল কর্মচারীকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হওয়াতে প্রায় ৩’শত সাধারণ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। তিনি আরো বলেন, আমরা উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশকে লিখিত অভিযোগ করেছি।
এ বিষয়ে রওশন প্রামানিক বলেন, আমি গ্রাম প্রধান। গ্রামের শান্তি বজায় রাখার স্বার্থে এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ ভুক্তভোগীর সাথে মিমাংসা করে দেওয়ার কথা বলেছি। মামলায় আসামী হয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া ব্যাক্তিদের টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছে। কোন চাঁদা চাওয়ার ঘটনা ঘটেনি, জেনী আয়ুর্বেদিক ল্যাবরেটরি এর স্বত্বাধিকারী মোজাফফর হোসেন কাউকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে কিনা জানতে চাইলে , রওশন প্রামানিক কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিউল আজম খান বলেন, জেনি আয়ুর্বেদিক ল্যাব্রেটরি এর পক্ষে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।