জন্মভূমি নিউজ ডেক্স
রাজশাহীর অন্যতম ব্যস্ত এলাকা রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের রেলগেট ও শালবাগান বাজার। এই সড়কে রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পাশের ফুটপাত থেকে নিজেই তরমুজের আড়ত ও দোকান সরিয়ে ফেলেছেন ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও রাজশাহী ফল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহিন হোসেন কালু। সোমবার (১১ মার্চ) সরেজমিনে গিয়ে এমন দৃশ্যের দেখা মিলেছে আমাদের রাজশাহী প্রতিবেদকের চোখে। কয়েকদিন আগেই রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পাশের ফুটপাতের ওপর বাঁশ ও চাঁটাই দিয়ে ঘিরে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০টি নতুন দোকান তুলেছিলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কালু। তবে প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলার পর তিনি নিজেই তার ভুল স্বীকার করেছিলেন। বলেছিলেন- ফুটপাতে দোকান করাটা তাদের অন্যায় হয়েছে এবং কথাও দিয়েছিলেন খুব শীঘ্রই তুলে ফেলবেন ফুটপাত দখল করে নির্মিত দোকান ও আড়ত। কথা রেখেছেন তিনি। জানতে চাইলে ১৫ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও ফল ব্যবসায়ী শাহিন হোসেন কালু প্রতিবেদককে বলেন, ‘এখন ফলের সিজন চলছে। ব্যবসার এখনই সময়। রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে তরমুজ, আনারস, বাঙ্গীসহ বিভিন্ন ধরনের ফলমুল রাজশাহী শহরে আসে। আজ রমজানের শুরু। রমজানে ফলের চাহিদা আছে মানুষের কাছে। কোথাও কোন জায়গা না পেয়ে এসব কথা চিন্তা করে বাধ্য হয়ে ফুটপাতে দোকান বসিয়েছিলাম। কিন্তু মানুষের সমস্যার কথা ভেবে তা উঠিয়ে দিয়েছি।’ ‘তবে আপনাদেরকে অনুরোধ করছি- গণমাধ্যমের দ্বারা মেয়র সাহেব, ডিসি সহ সংশ্লিষ্টদের জানান রাজশাহীতে ফল ব্যবসায়ীদের স্থায়ী জায়গা নাই। তারা যেনো আমাদের জন্য একটা জায়গার ব্যবস্থা করে দেয়। আমরা গরীব মানুষ। ব্যবসা করে যেনো খেতে পারি। এটাই চাওয়া, এছাড়া আমাদের কিছু চাওয়ার নাই’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এ ব্যাপারে রাজশাহী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউশনের অধ্যক্ষ মোহম্মদ আব্দুর রশীদ মল্লিক বলেন, ‘নিজেই সরিয়ে ফেলায় খুব ভালো হয়েছে। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণের বড্ড উপকার হয়েছে। তবে তারাও গরীব মানুষ। তাই, আমার মনে হয়; আমাদের মাননীয় মেয়র ও ডিসি মহোদয় উভয়কেই তাদের বিষয়টি বিবেচনায় আনা উচিৎ। তাদের পুুণর্বাসনের একটা ব্যবস্থা করলে তারা আর ফুটপাত দখল করবে না এবং মানুষও সমস্যায় পতিত হবে না।’ এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর রাজশাহী জেলার সভাপতি আহমেদ শফিউদ্দিন প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমাদের রাজশাহীতে প্রচুর পরিমাণে খাস জমি-জায়গা পড়ে আছে। সেখানে যদি এসব ফল ব্যবসায়ী, শাক-সবজি ব্যবসায়ী সহ অন্যান্যদেরও পুুণর্বাসনের একটা ব্যবস্থা করা যায়; তবে তারা মনে হয় না আর ফুটপাত দখল করে থাকবে। এতে নাগরিক দুর্ভোগও কমবে, তারাও (ব্যবসায়ীরাও) স্বাচ্ছন্দ্যে থাকবে।