বাঘায় চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীকে শ্লীলতা হানির অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার।

দেশের খবর
Spread the love
Print Friendly, PDF & Email
image_pdfimage_print

বাণী ইসরাইল হিটলার সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার
রাজশাহীর বাঘায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রীযুষ কুমার নামে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। তিনি বাঘা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক । সোমবার (১৯আগষ্ট) শিক্ষকের বিচার দাবি করে মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি শিক্ষকের নারায়ণপুরের বাড়ি পর্যন্ত যায়। পরে বিদ্যালয়ে ফিরে আসে শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার,ওসি ও সেনা বাহিনীর সদস্যরা গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। পরে শিক্ষার্থী অভিভাবক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
জানা গেছে, রোববার (১৮ আগষ্ট) বিকাল সাড়ে ৩টায় উপজেলা সদরে বাঘা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক প্রীযুষ কুমার চতুর্থ শ্রেণির বাংলাদেশ পরিবেশ ও বিশ্ব পরিচিত ক্লাস শেষে বিদ্যালয় ছুটি হয়ে যায়। সকল শিক্ষার্থীরা বাড়ি যাওয়ার জন্য ক্লাসরুম থেকে বের হয়। এ সময় সহকারি শিক্ষক প্রীযুষ কুমার এক শিক্ষার্থীকে ডেকে ক্লাস রুমের মধ্যে নিয়ে গিয়ে তার শ্লীলতাহানি করে। ওই শিক্ষার্থী বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারকে বিষয়টি জানান।
পরে পরিবারের পক্ষ থেকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনজারুল ইসলামকে অভিযোগটি জানানো হয়। তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করেন। সোমবার সকাল ১০টার দিকে অভিযুক্ত সহকারি শিক্ষক প্রীযুষ কুমার বিদ্যালয়ে আসলে সকল শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে বিদ্যালয়ের ওই শিক্ষকে ধাওয়া করে এবং বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তার বাড়িতে গিয়ে ঘেরাও করে রাখে। স্থানীয়দের নিষেধে শিক্ষার্থীরা ফিরে আসে। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এর আগেও এধরনের অভিযোগ উঠলেও ধামাচাপা দেয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। আত্নগোপনে থাকায় শিক্ষকের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনজারুল ইসলাম বলেন, আমাকে পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটনাটি জানানোর সাথে সাথে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করি। এরপরও উড়তেই বয়সের কিছু যুবক আমাকেও লাঞ্জিত করেছে। ঘটনার দিন আমি ছুটি নিয়ে চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলাম। আমি বিদ্যালয়ে ছিলাম না।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সিদ্দিক বলেন, এ বিষয়ে শিক্ষার্থীর এক অভিভাবক বাদি হয়ে সোমবার একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। শিক্ষককে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমাকে বিষয়টি অবগত করেন। পাশাপাশি শিক্ষার্থীর অভিভাবক আমাকে জানিয়েছেন। বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *