নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়করা
সার্বিক বাস্তবতা বিবেচনায় পাঁচটি সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সমন্বয়করা। সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পেছন ফটকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানায় ১৭ সদস্যবিশিষ্ট সমন্বয়ক পরিষদ।
সিদ্ধান্তগুলো হলো- রাজশাহী মহানগর ও জেলায় সব ধরনের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, বাজার মনিটরিং এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের পাহারা থেকে শিক্ষার্থীরা সরে যাবে। এসব স্থানে রাষ্ট্রীয়ভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ তাদের কর্তব্য পালন করবে; শুধুমাত্র রাতে নিরাপত্তার স্বার্থে সড়কের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে ১০ জনের বেশি নয় এমন সংখ্যক শিক্ষার্থী পাহারার দায়িত্ব পালন করতে পারেন, তবে অবশ্যই শিক্ষার্থী পরিচয়পত্র তাদের সঙ্গে রাখতে হবে; আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে পুলিশকে সর্বাত্মক সহায়তা করা।
এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহীতে কেন্দ্র ঘোষিত সমন্বয়ক পরিষদ ছাড়া কোনও ধরনের সমন্বয়ক নেই, তাই রাবি পরিষদসহ ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে যেকোনও ব্যক্তির আর্থিক লেনদেন, সুবিধা প্রদান কিংবা ক্ষমতা চর্চা সব ধরনের সুযোগ প্রতিহত করতে হবে; দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে নিয়মিত আন্দোলনের বাইরে রাজশাহী জেলা ও মহানগরের অন্যান্য কার্যক্রম আপাতত স্থগিত থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সমন্বয়করা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিকভাবে ফিরিয়ে আনতে তারা অতিদ্রুত বিভিন্ন অনুষদের ডিন এবং বিভাগের সভাপতিদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। ক্রমান্বয়ে ক্যাম্পাসে শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের লেজুড়ভিত্তিক রাজনীতি বন্ধ করা ছাড়াও পরের সিনেটের মাধ্যমে যাতে উপাচার্য নির্বাচিত হয় সে বিষয়ে দাবি জানানোর কথা বলেন তারা। এ ছাড়া বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বল্প সময়ের মধ্যে রুটিন দায়িত্ব পালনের জন্য হলেও একজন উপাচার্য নিয়োগের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক গোলাম কিবরীয়া চৌধুরী মিশু, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক মেহেদী সজীব, ফাহিম রেজা, সালাউদ্দিন আম্মার, ফুয়াদ রাতুলসহ অন্য সমন্বয়করা উপস্থিত ছিলেন