রাজশাহীতে খুলেছে প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম

দেশের খবর
Spread the love
Print Friendly, PDF & Email
image_pdfimage_print

মোসাঃমেঘলা আক্তার
আজ থেকে শুরু হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম। তবে রাজশাহীর বেশিরভাগ প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম রয়েছে। সকাল সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত নগরীর ভোলানাথ বিশ্বেশ্বর হিন্দু একাডেমি, ঘোড়ামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মন্নুজান সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগই বিদ্যালয়ে আসেননি। শিক্ষকরা বলছেন, চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে হওয়ায় শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসছে না৷

অভিভাবকরাও তাদের সন্তানদের নিয়ে এখনো চিন্তিত৷ পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়াবে বলে মনে করছেন তারা। এ বিষয়ে রাজশাহী বি বি হিন্দু একাডেমির প্রধান শিক্ষক রাজেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, শিক্ষার্থীরা এখনো বিদ্যালয়ে আসেননি ,কিছুটা অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে। আশা করা হচ্ছে দু-একদিনের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়বে। এর আগে কোটা সংস্কার ও ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঘিরে প্রায় এক মাস বন্ধ থাকার পর আজ সব প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলছে। মঙ্গলবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সত্যজিত রায় দাশ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলো পুরোদমে শ্রেণি কার্যক্রম চালু করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। একই সঙ্গে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ৩ আগস্ট ক্লাস বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়ে জারি করা অফিস আদেশের কার্যকারিতা রহিত করা হলো বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়। এর আগে ৫ আগস্ট রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এরপর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল খুবই নগণ্য। শনিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ডা. বিধান রঞ্জন রায়। এরপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সোমবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্কুল খোলার বিষয়ে আবার নতুন করে নির্দেশনা দেওয়া হয়। গত ১৭ জুলাই দেশব্যাপী কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *