অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের যুবারা।
শুক্রবার দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমি ওভালের ২ নম্বর মাঠে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। টাইগার যুবাদের বোলিং তোপে মাত্র মাত্র ১৮৮ রান করতে সক্ষম হয় ভারত।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬২ রান আসে মুরুগান অভিষেকের ব্যাট থেকে। ৫০ রান করেন মুশের খান। জবাবে বাংলাদেশ ৪ উইকেট ও ৪৩ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয়।
এর আগে শুরুতেই বাংলাদেশি বোলারদের তোপের মুখে পড়ে ভারত। মাত্র ৬২ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। এরপর মুরুগান অভিষেকের ৬২ আর মুশির খানের ৫০ রানের ওপর ভর করে ১৮৮ রানের পুঁজি পায় ভারত। বাংলাদেশের হয়ে ৪১ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন মারুফ মৃধা।
এছাড়া জোড়া উইকেট শিকার ইকবাল হোসাইন ইমন ও শেখ পারভেজ হোসেন জীবনের।
উল্লেখ্য, অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের আগের আসরেই সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে হেরে বাড়ি ফিরতে হয়েছিল বাংলাদেশকে।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে টাইগার যুবাদের বোলিংয়ের সামনে পড়ে স্কোরবোর্ডে ১৩ রানে তুলতে তিন উইকেট হারায় ভারত। ২ বলে ২ রান করে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার আদর্শ সিং। বাঁহাতি পেসার মারুফ মৃধার বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। এরপর ৬ বলে ১ রান করা আরেক ওপেনার আর্শিন কুলকার্নিকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান মারুফ।
অধিনায়ক উদয় শাহারানকে রানের খাতাই খুলতে দেননি বাংলাদেশের এই অধিনায়ক। অর্থাৎ প্রথম তিন উইকেটের তিনটিই শিকার করেন এই বাঁহাতি পেসার। এরপর দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন প্রিয়ানসু মলিয়া ও শচিন দাস। তবে বাংলাদেশি বোলারদের তোপের মুখে বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেনি শচিন। ২৩ রানের জুটিটি ভেঙে দেন ডানহাতি পেসার রোহানাত দৌল্লা বর্ষণ। ৩৬ রানে ছিল না ৪ উইকেট।
প্রিয়ানসু মলিয়া ও মুশের খানের ২৫ রানের জুটি দলীয় স্কোর ৬১ রানে নিয়ে যায়। ১৬তম ওভারে জোড়া আঘাতে মলিয়াকে ১৯ রানে ও অ্যারাভেলি আভিনিশকে ০ রানে ফেরান ডানহাতি পেসার বর্ষণ। তখন মনে হয়েছিল ভারতকে ১০০ রানেই আগেই গুটিয়ে দিতে পারবে ভারত।
কিন্তু সেটি হতে দেয়নি মুশের ও মুরুগান অভিশেকের করা সপ্তম উইকেটের জুটি। ১০৮ বলে ৮৪ রানের পার্টনারশিপে তারা দলকে নিয়ে যান ১৪৫ রানে। মুশের ফিফটি হাঁকিয়ে (৬১ বলে ৫০) রাব্বির বলে আরিফের হাতে ক্যাচ হন। এরপর ৩ রান দলীয় স্কোরকার্ডে যোগ না হতেই ফেরত যান নতুন ব্যাটার সৌমি পান্ডে।
মুরুগানও হাঁকান ফিফটি। অবশেষে ৭৪ বলে ৬২ রান (৬ চার ও ২ ছক্কা) করে মারুফের বলে জিসান আলমের হাতে ধরা পড়েন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১৮৮ রানে অলআউট হয় ভারত।