সুকমল চন্দ্র বর্মন (পিমল) জেলা প্রতিনিধিঃ
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার বড়াইল ইউনিয়নের বিনাই গ্রামে চতুর্থ শ্রেণীর এক শিক্ষাথীকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে গুরুতর আহত করেছেন।
ওই শিক্ষার্থীকে স্থানীয় জনগন উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
অভিযুক্ত আব্দুল কুদ্দুস (৬০) জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার আতাহার বামন গ্রামের জাকির এর ছেলে।
আহত শিক্ষার্থীর বাবা-মা ঢাকা গার্মেন্টসে চাকরি করেন। বাচ্চাটি তার বৃদ্ধ দাদা দাদীর কাছে থাকতেন নিজ গ্রাম বিনাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পড়াশোনা করে বলে জানা গেছে।
৯ এপ্রিল (বুধবার) সকাল ১১ ঘটিকায় ক্ষেতলাল উপজেলার বিনাই মধ্যপাড়া হাসান এর মেয়ে চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থীর ডাকনাম শাবনুর এর সাথে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা সূত্রে জানা যায় কুদ্দুস (৬০) গত এক বছর যাবত উপজেলার বিনাই মধ্যপাড়া গ্রামে এসে কৃষি দিনমজুরের কাজ করতেন। ওই পাড়ায় প্রবাসী কাবিল হোসেন এর নির্মাণাধীন বাড়িটি ফাঁকা পেয়ে এদিকে গেটের সামনে বাচ্চাটিকে দেখে একা পেয়ে মুখ চিপে ধরে রুমে নিয়ে যায়। প্রতিবেশী আব্দুল গনির স্ত্রী বিষয়টি দেখতে পেয়ে দৌড়ে গিয়ে লোকজনকে ডেকে নিয়ে আসে। সেই সঙ্গে ৯৯৯ ফোন দেয় লোকজন এসে দরজায় লাথি মারলে ধর্ষক বাচ্চাটিকে দু’ তালার ছাদ থেকে ফেলে দেয়।সঙ্গে সঙ্গে এলাকাবাসী বাচ্চাটিকে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। এমত সময় ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে বাড়িটি ঘেরাও করে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্ত আব্দুল কুদ্দুস ছাদ থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাকে হাতনাতে আটক করে।
এদিকে ওই বাড়ির মালিক কাবিলের ফোনে ও হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমি প্রবাসে থাকি নিজ গ্রামে বসবাসের জন্য একটি বাড়ি নির্মাণ করতেছি উক্ত বাড়িটি দেখাশোনা করতেছে আমার স্ত্রী। বাড়িটি এখনো সম্পূর্ণ হয় নাই। আমার স্ত্রীর মারফতে জানতে পারিলাম আমার গ্রামে একজন দিনমজুর কাজ করা লোক ঘটনাটি ঘটিয়েছে। অপরাধী যেই হোক আমি তার সর্বোচ্চ শাস্তি ও ফাঁসি দাবি করিতেছি।
ক্ষেতলাল থানার অফিসার ইনচার্জ বীরেন্দ্র সিং জানান ৯৯৯ ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আসামিকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে আইনগত প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।