৩ লাল কার্ড, ৪ গোল– বার্সাকে কাঁদিয়ে সেমিতে পিএসজি

খেলার খবর
Spread the love
Print Friendly, PDF & Email
image_pdfimage_print

জন্মভূমি নিউজ ডেস্ক :

ম্যাচশেষে বার্সেলোনার কোচ জাভি হার্নান্দেজ বলতে বাধ্য হলেন, ‘মৌসুমের সব পরিশ্রম ধ্বংস হয়ে গেল রেফারির একটা সিদ্ধান্তে।’ আগের ম্যাচে পিএসজিকে তাদের মাঠেই ৩-২ গোলে হারিয়ে এসেছিল বার্সেলোনা। এই ম্যাচে ঘরের মাঠে তাই দারুণ কিছু হবে সেটার প্রত্যাশা করাই ছিল স্বাভাবিক। ২০১৯ সালের পর প্রথমবার বার্সেলোনা স্বপ্ন দেখছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে যাওয়ার।

কিন্তু দুর্দান্ত ছন্দে ফেরা কিলিয়ান এমবাপে আর তিন লাল কার্ড দেখানো রেফারি ইস্তভান কোভাকস যেন ছিটকে দিলেন বার্সাকে। কোভাকস প্রথম লাল কার্ড দেখিয়েছেন ম্যাচের ৪০ মিনিটে। সেটাই বার্সার রক্ষণের নেতা রোনাল্ড আরাউহোকে। এরপর ৬৪ মিনিটে ভিএআর দেখেও বার্সার পেনাল্টি আবেদন নাকচ করেছেন। মাঝে লাল কার্ড দেখিয়েছেন বার্সা কোচ জাভি হার্নান্দেজ এবং গোলরক্ষক কোচ রোমান দে লা ফুয়েন্তেকে।

অথচ স্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে শুরুটা ছিল মূলত বার্সারই। আগেই লিড ছিল ৩-২ ব্যবধানে। সেটাকে ৪-২ করতে কাতালুনিয়ার ক্লাবটি সময় নিয়েছে মোটে ১২ মিনিট। আগের ম্যাচে জোড়া গোল করা রাফিনিয়া এই ম্যাচেও নাম লিখিয়েছেন স্কোরশিটে।

ম্যাচের লাগাম তখন পর্যন্ত বার্সেলোনার কাছেই ছিল। ২৯ মিনিটেই ঘটে বিপত্তি। পিএসজির ব্রাডলি বারকোলাকে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় রোনাল্ড আরাউহোকে। ১০ জনের দলে পরিণত হওয়া দলটার কাছ থেকে ছুটে যেতে শুরু করে ম্যাচটা। ৪০ মিনিটে সমতা ফেরান সদ্যই বার্সা থেকে পিএসজি যাওয়া উসমান ডেম্বেলে।

দ্বিতীয়ার্ধের ১০ মিনিট পেরুনোর আগেই অ্যাগ্রিগেটেও সমতা এনে ফেলে পিএসজি। আশরাফ হাকিমি আগের ম্যাচে ছিলেন না। এই ম্যাচে তারই দেয়া পাস থেকে সমতায় আসে প্যারিসের ক্লাবটি। স্কোরশিটে নাম লেখান ভিতিনহা। পিএসজি তখন বার্সেলোনার বিরুদ্ধে আরেকটি কামব্যাকের গল্প লিখতে প্রস্তুত।

খানিক পরে সেটা করেও ফেলে তারা। ডেম্বেলেকে ফাউল করে সফরকারী দলকে পেনাল্টি উপহার দেন হোয়াও ফেলিক্স। প্যারিসের ক্লাবটিকে ৩–১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন এমবাপে।

বার্সা যে ম্যাচে ফেরার সুযোগ পায়নি তা না। তবে একবার তাদের বঞ্চিত করেছেন রেফারি। আরেকবার নিজেরাই পারেনি। ৬৪ মিনিটে গুন্দোয়ানকে ফাউল করেন ভিতিনহা। রেফারি ভিএআর চেক পর্যন্ত করেছিলেন। কিন্তু সেখান থেকেও নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকেন রোমানিয়ার রেফারি ইস্তভান কোভাকস।

আর ৭৩ মিনিটে বার্সা স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডফস্কি নিজেই ব্যর্থ হয়েছেন গোলরক্ষক ডোনারুম্মাকে পরাস্ত করতে। ফিরতি বলে ফেরান তরেসও ব্যর্থ হয়েছেন।

৮৯ মিনিটে বার্সার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন এমবাপে। প্রতি আক্রমণে বার্সা গোলকিপার মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগেন বল রুখে দিলেও ডিফেন্ডার জুলস কুন্দের ভুলে বলটা আবারও পেয়ে বসেন এমবাপে। দ্বিতীয় দফায় এই ফেঞ্চ স্ট্রাইকার আর ভুল করেননি। ৪-১ গোলে দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন এমবাপে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *