সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার
ঐতিহাসিক ৬-দফা ঘোষণার দিনে আন্দোলন-সংগ্রামে আত্মদানকারী বীর শহিদদের প্রতি অসীম শ্রদ্ধা ও প্রবল কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছে বঙ্গবন্ধু জন্মশতবর্ষ আন্তর্জাতিক পর্ষদ ও রাজশাহী লেখক পরিষদ।
সেই লক্ষ্যে বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ৬ দফার ঐতিহাসিক দিন উদযাপন উপলক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, সেমিনার, কবিতা-ছড়াপাঠ, আবৃত্তি ও সঙ্গীতানুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। দিনব্যাপী এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার (৭ জুন) সকাল ১০ টায় রাজশাহী এসোসিয়েশন চত্বরে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, র্যালি ও বেলুন-ফেস্টুন উড়িয়ে উদ্বোধন করা হয়েছে।
এসময় মহান মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের সম্মানার্থে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর রাজশাহী এসোসিয়েশনের সেমিনার কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার।
রাজশাহী লেখক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক রুহুল আমিন প্রামাণিক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. শামসুল আলম (বীরপ্রতীক)।
রাজশাহী লেখক পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসান কবীর লিটনের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- বঙ্গবন্ধু জন্মশতবর্ষ আন্তর্জাতিক পর্ষদের প্রধান সমন্বয়ক কবি আসলাম সানী এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন রাজশাহী লেখক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ড. তসিকুল ইসলাম রাজা।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেনমাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড রাজশাহীর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. অলীউল আলম।
আলোচনায় ছিলেন, রাজশাহী কলেজ বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও লেখক পরিষদের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. শিখা সরকার, রাজশাহী সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, গবেষক এ.কে আজাদ খান ও কবি বাপ্পী রহমান।
প্রথম অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বে বেলা সাড়ে ১১ টায় রাজশাহী এসোসিয়েশনের সেমিনার কক্ষে ‘বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা কর্মসূচি ঐতিহাসিক পরিপ্রেক্ষিত ও প্রভাব’- শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সেমিনারে রাজশাহী মহানগর ইউনিট কমান্ড সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মো. আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে মুখ্য আলোচক ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাশেম। আলোচনায় ছিলেন, রাজশাহী কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ইব্রাহিম আলী, রাজশাহী লেখক পরিষদের সহ-সভাপতি ও দৈনিক সোনার দেশ পত্রিকার সম্পাদক আকবারুল হাসান মিল্লাত।
এসময় উপস্থিত বক্তারা বলেন, ১৯৬৬ সালের এই দিনে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান লাহোরে তদানীন্তন পাকিস্তানের বিরোধীদলগুলোর সম্মেলনে তখনকার পূর্ব বাংলার শোষিত মানুষের বঞ্চনার অবসানকল্পে ৬-দফা দাবিনামা পেশ করেন। তিনি পূর্ব বাংলাসহ পাকিস্তানের সব প্রদেশের জন্যই সায়ত্বশাসন দাবি করলেও সেখানকার কায়েমীস্বার্থ সমর্থক কিছু পত্রপত্রিকা শেখ মুজিবকে বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে আখ্যায়িত করে সায়ত্বশাসন আদায় ও শোষণ-বঞ্চনা অবসানের মূল দাবিকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। শেখ মুজিব এর প্রতিবাদ করেন এবং ঢাকায় ফিরে এসে নিজ দলের ওয়ার্কিং কমিটির সভায় এই দাবিনামা উত্থাপন করেন।