নারী দিয়ে ফাঁদ পেতে প্রতারণার অভিযোগে ১২ জন গ্রেপ্তার

Spread the love
Print Friendly, PDF & Email
image_pdfimage_print

মোঃ কাজী আব্দুল হালিম বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান
রাজশাহী পবায় নারী দিয়ে ফাঁদে ফেলে ফাঁসিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়া চক্রের ৪ নারীসহ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

নগরীর শাহমখদুম থানা পুলিশ বুধবার বিকেলে পবা নতুনপাড়া বনলতা আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত বারোজন হলো, পপি আক্তার (৩৪), সালাউদ্দিন (৪০), কাউসার (২৫), রহমত আলী (২১), কাউসার (২৩), রাতুল (২০), আশিক হাসান (২৩), মানিক (৩৯), শাকিল আহম্মেদ (২৪), সম্পা আক্তার (২০), সুমি খাতুন (২৬) ও পিয়াংকা খাতুন (২১)।

নগর পুলিশ জানায়, রাজশাহী জেলার বাগমারা থানার এমরান হোসেনের পূর্ব পরিচিত রানা আহম্মেদ। গত ৫ জুন সকাল ১০ টায় ইমরানকে তার শাহমখদুম থানার পবা নতুনপাড়া বনলতা আবাসিকের বাসায় দাওয়াত দেয়। ইমরান তার তিন বন্ধুকে সাথে নিয়ে দাওয়াতে যান। সেখানে ইমরান রানা ও তার স্ত্রী ছাড়াও আরও তিন মেয়েকে দেখতে পান তারা। এসময় রানা পপি আক্তারকে তার স্ত্রী এবং অন্য তিনজনকে তার শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়া বলে পরিচয় করে দেয়।

বিকাল সোয়া ৪ টার দিকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে আরো ১০-১২ জন সেখানে আসে। তারা জোর করে ইমরান ও তার বন্ধুদের একটি কক্ষে আটকে রাখে। সেখানে তাদের সাথে সম্পা, সুমি ও পিয়াংকাকে বসিয়ে অসামাজিক কাজের অভিযোগ তুলে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে ছবি তুলে তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেয়। ইমরান ও তার বন্ধুরা চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাদের মারপিট করে আহত করে এবং তাদের কাছে থাকা ৩১ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।

এছাড়াও ইমরান ও তার বন্ধুদের কাছে থাকা মোবাইল ফোনগুলো ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। রানা পরিকল্পিতভাবে নারী দিয়ে ফাঁসানোর এ কাজটি করেছে বুঝতে পেরে ইমরান ও তার বন্ধুরা চিৎকার শুরু করে। এসময় পাশেই টহলরত শাহমখদুম থানা পুলিশ চিৎকার শুনে স্থানীয়দের সহযোগিতায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।

এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে রানাসহ অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জন পালিয়ে যায়। গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত ও পলাতকদের বিরুদ্ধে নগরীর শাহমখদুম থানায় মামলা দায়ের করে গ্রেপ্তারকৃত আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *