জন্মভূমি নিউজ ডেস্ক:
রাশিয়ান আঙ্গুর চাষ করেে হৈচৈ ফেলে দিয়েছেন নাটোর সদর উপজেলার বাগরুম গ্রামের আমজাদ হোসেন। তার নিবিড় পরিচর্যায় দেশের মাটিতেই শোভা পাচ্ছে রাশিয়ান এই ফল। এতদিন পরীক্ষামূলক চাষাবাদ করলেও এবার বাণিজ্যিক আবাদ শুরু করেছেন তিনি।
আমজাদ হোসেন জানান, অনেক বছর ধরে বিভিন্ন দেশ থেকে কয়েক জাতের চারা সংগ্রহ করে নার্সারিতে রোপন করেছেন তিনি। এরমধ্যে তাহাদ জাতের এই আঙ্গুরের চাষ শুরু করেছেন বাণিজ্যিকভাবে। তাহাদ জাতের এই আঙ্গুর দেখতে যেমন সুন্দর, খেতেও বেশ সুমিষ্ট।
কয়েক বছরের প্রচেষ্টায় ৩৫ জাতের আঙ্গুর নিয়ে গবেষণা করে পাঁচটি জাতের আঙ্গুর বেছে নিয়েছেন তিনি। ফলন বেশি ও খেতে সুমিষ্ট ও সুস্বাদু হয় বাণিজ্যিকভাবে এর আবার শুরু করেন এই উদ্যোক্তা।
আঙ্গুর চাষি বলেন, ৩৫-৩৬ ধরণের জাত আমরা সংগ্রহ করে বাগানে রোপণ করেছি। রোপণের পর আমরা ভালো ফলন পেয়েছি। আমরা যদি দেশে এই বীজ ছড়িয়ে দিতে পারি এবং বাসা বাড়িতে এই জাত রোপণ করা হয় তাহলে আমরা বিষমুক্ত আঙ্গুর খেতে পারবো।
এদিকে আমজাদের বাগানের আঙ্গুর দেখতে প্রতিদিনই বাগানে আসেন দূর দূরান্তের মানুষ। পাকা আঙ্গুর খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলছেন তারা।
জেলায় বিদেশি জাতের অনেক ফলের বাণিজ্যিক আবাদ হচ্ছে। এই কাজে আগ্রহী চাষিদের সবধরণের সহযোগিতার আশ্বাস কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের।
নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, এই বছর আমরা লক্ষ্য করেছি এই ধরণের আঙ্গুরগুলো চাষ হচ্ছে। এবং ফলন ভালো হয়েছে, তাছাড়া এই ফলগুলো প্রচুর মিষ্টি। যদি এই মিষ্টির বিষয়টা থাকে তাহলে আমরা এসব জাত চাষ করার জন্য প্রতিটি জেলায় বীজ সরবরাহ করবো। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এই সব কৃষকদের পাশে থেকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে।