ফারহানা ইয়াসমিন।।স্টাফ রিপোর্টার
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা, উক্ত রাজধানীতে প্রায় ৫০ টি থানা রয়েছে। ৫০টি থানায় ৫০টি ওসি নিযুক্ত আছেন এবং প্রতিটি থানায় কয়েকটি ওয়ার্ডও আছে ওসিদের নখদর্পণে। প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডগুলোতেই রাজনৈতিক নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন পেশাজীবী লোকজন বসবাস করে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেখা যাচ্ছে যে প্রতিটি এলাকায় রিক্সার গ্যারেজগুলিতে, চায়ের দোকান গুলোতে এবং সিএনজির গ্যারেজে নিয়মিতভাবে উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েরাসহ মাদক ব্যবসায়ীদের রমরমা বাণিজ্য ও কিশোর গ্যাঙ্গের মতো অপরাধীদের দৌরাত্ম পাওয়া যায় বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই বিষয়গুলো নিয়ে সাংবাদিকরা গ্যারেজ মালিক, দোকান মালিকসহ এলাকার বিভিন্ন লোকজনদেরকে এই সমস্ত দুষ্টু প্রকৃতির লোকজনদের বিরুদ্ধে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে উক্ত ব্যবসায়ীগণ সাংবাদিকদের জানায় যে পুলিশকে পয়সা দিয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা এবং কিশোর গ্যাঙ্গরা চলাফেরা করে আপনারা কিছুই করিতে পারিবেন না। রাজধানীর খিলগাঁও থানার সাথেই তালতলা মার্কেটের ওপরে দোতালায় নিয়মিতভাবে চলছে কিশোর গ্যাঙ্গের আড্ডা এবং মাদক ব্যবসা। মার্কেটের দক্ষিণ পাশে খাদেম নামক ব্যক্তির মাদকের ব্যবসার রমরমা জমজমাট। আদর্শ বাগ, নবীনবাগ, সাহেরুনবাগ, লাল মার্কেট, মেরাদিয়া কবরস্থান রোড, ভূঁইয়াপাড়া রোড, লাল মিয়া হোটেলের গলিসহ প্রত্যেকটি গলি, আদর্শ বাগ রজনীগন্ধা রোড, কৃষ্ণচূড়া রোড, বনশ্রী কবরস্থান রোড, ত্রিমোহনী নাসিরাবাদ গুদারা ঘাট, মাদবর বাড়ি রোড, হাজী বাড়ির মোড়, টেকপাড়া, সবুজবাগ থানার ওহাপ কলোনি, রাজারবাগ কালীবাড়ি, কুসুমবাগ, কদমতলা ব্রিজ সংলগ্ন ও তার আশেপাশে গ্যারেজগুলো, মাদারটেক বাগানবাড়ি রোড, এবং কবরস্থান রোডসহ একাধিক সিএনজি ও রিক্সার গ্যারেজ গুলোতে নিয়মিতভাবে মাদকের ব্যবসা চলছে বলে এলাকাবাসী সাংবাদিকদের জানান সবুজবাগ থানাধীন দক্ষিণ গাও ১নং রোড থেকে শুরু করে শেখের জায়গা পর্যন্ত ড্রেজারের ব্যবসার নামে কিশোর গ্যাঙ্গ ও অত্রবাজদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ সবুজবাগ থানাবাসী। এছাড়া বাইগদা, মানিকদিয়া, বেগুনবাড়ি এলাকায় চলছে নিয়মিতভাবে হেরোইন, গাজা, ফেন্সি, আইস, ইয়াবাসহ নারী ব্যবসা জমজমাট। মুগদা থানাধীন মান্ডা এলাকায় মান্ডা হায়দার আলী স্কুল এন্ড কলেজের সম্মুখ হতে ছাতি মসজিদ পর্যন্ত যত অলিগলি আছে প্রতিটি গলির মধ্যে অবস্থানকৃত গ্যারেজেগুলোতে নিয়মিতভাবে কিশোর গ্যাঙ্গের আড্ডা সহ মাদকের ব্যবসা রমরমা। তাছাড়া মুগদা মান্ডা এলাকায় নতুন আমির হাউজিং প্রকল্প আবাসন গুলোর ভেতরের জঙ্গলগুলোতে বিভিন্নভাবে ছেলেমেয়েরা এসে মাদক সেবনসহ অস্ত্র নিয়ে ছিনতাইয়ের মত দুর্ঘটনা ঘটে বলে খবর পাওয়া যায়। মিনি কক্সবাজার নামে যে পাকর্টি অবস্থিত উক্ত পার্কের আশেপাশের চিরাচরিত্র নিয়মে চলছে উশৃংখল টিকটকার ছেলেমেয়েদের আনাগোনাসহ মাদকের ব্যবসা। এ বিষয়ে মেলা পরিচালনাকারী আলমগীরকে জিজ্ঞেস করিলে তিনি তাহা অস্বীকার করে বলেন আমরা মেলা চালাই, এগুলো নিয়ে বসে নেই এবং কে কি করল তা দেখার সময় নেই। এগুলো দেখবে পুলিশ, আমরা পুলিশ ও সাংবাদিকদেরকে পয়সা দেই। তাছাড়া আমার বোন জামাই একটি পত্রিকার মালিক। আমি জানি কিভাবে পুলিশ ও সাংবাদিক পালতে হয়। বাইগদা এলাকার শেষ প্রান্তে সকাল থেকে রাত্র ১টা পর্যন্ত চলে নারীসহ মাদক ব্যবসা। দূর দূরান্ত থেকে ছেলে-মেয়েরা এখানে এসে অনৈতিক কাজকর্ম করে বলে এলাকা সূত্রে জানা যায়। এলাকাবাসী জানান অচিরেই এসব বন্ধ না করলে পরবর্তীতে এলাকার পরিবেশ ও মা-বোনেরা নষ্টের পথে চলে যাবে বলে আমরা মনে করছি। প্রশাসন সবই জানে কিন্তু প্রশাসন কোনো সৎ পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। রামপুরা থানার অন্তর্গত প্রতিটি ওয়ার্ড -এ নিয়মিত ভাবে কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিগণ এর ছত্রছায়ায় মাদকের ব্যবসা রম রমরমা যা এলাকার সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিগণ সাংবাদিকদের অবহিত করেন। প্রশ্ন থাকে যে, এলাকায় দিনের পর দিন নানা অনিয়ম এভাবে যদি ঘটে থাকে তাহলে কিভাবে বর্তমানে চুরি ছিনতাইসহ নানা অপকর্ম বা অনৈতিক কাজকর্ম ঘটেই চলেছে এর প্রতিকার হবে কিভাবে? শাজাহানপুর থানায় এলাকায় বেনজির বাগানের আশেপাশের গ্যারেজ গুলো সহ ফুট ওভার ব্রিজের গোড়ায় এবং এর আশেপাশের এলাকাগুলোতে নিয়মিত ভাবে চলছে অস্ত্রবাজ সন্ত্রাসীদের মহড়া সহ কিশোর গ্যাঙ্গ ও মাদক ব্যবসায়ীদের রমরমা রাম রাজত্ব। উক্ত বিষয় নিয়ে ও সাংবাদিকরা স্থানীয় লোকজনদের সাথে আলাপকালে জানতে পারে যে শাজাহানপুর মাঠগুলো যে কলোনির ভেতর অবস্থিত প্রতিটি মাঠে সন্ধ্যার পর হতে এবং কলোনির সিঁড়িকোঠায় নিয়মিত ভাবে রাম্যমান পতিতাদের এনে ফুর্তিসহ মাদকের ব্যবসা জমজমাট স্থানীয় মুরুব্বিগণ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন যে, যদি প্রশাসন শক্ত হাতে এদের নির্মূল করতে পারতেন তাহলে শুধু এলাকার নয় দেশ থেকেও এ ধরনের পৈচাসিকতার লোকজন অচিরেই ধ্বংস হয়ে যেত। আইন সবার ঊর্ধ্বে, আইনের কিছু অসৎ অফিসার থাকলেও দুই একজন ভালো প্রশাসনিক কর্মকর্তা যদি এই থানাগুলোতে এসে সন্ত্রাস, মাদক ব্যবসায়ী ও নারী ব্যবসায়ীসহ জুয়ারুদের উতখাত করে দিতেন তাহলে এলাকাবাসীর পক্ষ হতে আর কিছু না হোক সুন্দর সমাজ উপহার দিয়ে এলাকাবাসীর দোয়া গ্রহণ করতে পারতেন। (আগামী পড়বে দেখুন)