বানী ইসরাইল হিটলার সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল অভিযানে গিয়ে আসামী পক্ষের হামলার শিকার হয়েছেন ১ (এক) পুলিশ সদস্য। পুলিশ কনস্টেবল মাহবুবুর রহমান গুরুতর আহত অবস্থায় প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে গোদাগাড়ী ৩১ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি হন। ঘটনায় মোঃ ফজলুর রহমান (৫৫) পিতা মৃত আয়েজ উদ্দিন, বারীনগর দিয়ারমানিক চক কে প্রধান আসামীসহ আরও ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে এসআই (নিঃ) মোঃ আতিকুর রহমান বাদি হয়ে গোদাগাড়ী মডেল থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।এছাড়াও আরও নাম না জানা ৩০/৪০ জনের বিরুদ্ধেও এজাহার করেন তিনি।
এজাহার ও মামলা সুত্রে জানা যায়, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেল ৪:৩০ মিনিটে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মহিশালবাড়ী এলাকার আজাদ মেম্বারের ঘাট পদ্মার চরে ২৮ বোতল ফেনসিডিল সহ আসামি ১/ কবিরুল ইসলাম পিতা মোঃ এসারুল ২/ রফিকুল ইসলাম পিতা মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বাড়িনগর (মানিকচক) গোদাগাড়ী রাজশাহীদ্বয়কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় গোদাগাড়ী থানা পুলিশ। অভিযান চলাকালে মোঃ আলী হায়দার ওরফে অলি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে নিজ বাড়িতে আশ্রয় নেয়। আলী হায়দার ওরফে অলিকে গ্রেফতারের লক্ষে তার বাড়িতে অভিযান চালাতে গেলে আসামী মোসাঃ রাকিবা খাতুন বাড়িতে প্রবেশে বাধা দেয় এবং আলী হায়দারকে পালাতে সহায়তা করে।
কারন জানতে চাইলে এক পর্যায়ে কথা কাটাকাটি হয় রাকিবা খাতুনের সাথে। এক পর্যায়ে রাকিবা খাতুন চিৎকার চেচামেচি করে লোক ডাকাডাকি করে।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আলী হায়দার ওরফে অলি সহ অন্যান্য আসামীরা দলবদ্ধ হয়ে পুলিশের উপর হামলা করে। হাসুয়া, বল্লম,লোহার রড বাঁশের লাঠি নিয়ে পুলিশের উপর চড়াও হয় এবং ঘেরাও করে।
পুলিশ অবৈধ দলবদ্ধ জনতাকে নিবৃত করার চেষ্টা করলে আসামি গন আরও ক্ষিপ্ত হয় এবং সরকারি কাজে বাধা প্রদান করে। পরিস্থিতি বেসামাল দেখে পুলিশ থানার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এ অবস্থায় কনস্টেবল মাহবুব পেছনে থাকায় তোজাম্মেল মেম্বার ও ফজলুর রহমানের নির্দেশে এন্তাজুল হক ময়না ঘাইটালের হাতে থাকা ধারালো হাসুয়া দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে।
এতে মাহবুব মাথায়, হাতে, পায়ে এবং কাধের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত পায়। আঘাতের ফলে রক্তাক্ত হয় ও হাতের হাড় ভেঙ্গে যায়।
অবস্থা বেগতিক দেখে সঙ্গে থাকা পুলিশের সদস্যরা তাকে বাচাতে এগিয়ে গিয়ে কনস্টেবল মাহবুবকে উদ্ধার করে। গুরুতর আহত অবস্থায় দ্রুত ঐ পুলিশের সদস্যকে গোদাগাড়ী ৩১ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, তোজাম্মেল মেম্বার ও এন্তাজুল হক ময়না ঘাইটাল চর এলাকার মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ, মাদক পাচার, অবৈধভাবে ভারতে মানব পাচার সহ কথা না শুনলে এলাকার সরল মানুষকে মাদক দিয়ে ফাঁসানোর কাজও করে থাকেন। তোজা ও ময়না বিজিবি সদস্যদের সাথে সখ্যতা রেখে এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার বানিজ্য করেন মর্মে এলাকাবাসী জানায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোদাগাড়ী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল মতিন বলেন পুলিশ মাদক অভিযানে গেলে মাদক সিন্ডিকেটের হামলার শিকার হয়। এসময় পুলিশ মাদক উদ্ধার ও দুজন কারবারিকে আটক করেন। মাদক সিন্ডিকেটের হামলায় একজন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়। এ বিষয়ে থানায় নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে।