মোঃ ইলিয়াস মোল্লা
আজ ২১ ই এপ্রিল ২০২৪ রোজ রবিবার গাজীপুর জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে।
আজ পবিত্র ঈদুল ফিতরের এগারো তম দিনেও কর্মময় ব্যস্ত মানুষগুলো ফিরতেছে ব্যস্ততম শহর ঢাকা ঢাকার আদলে গাজীপুরে অবস্থানরত কর্মময় ব্যস্ততম অফিসগুলোতে ফিরতে শুরু করেছে নারীর টানে বাড়ি ফেরা সেই মানুষগুলো।
সবার সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি শেষে, আজ ঈদের এগারো তম দিনেও বাড়ি থেকে ফিরে আশা মানুষ গুলোর উপচে পড়া ভিড় ছিল ট্রেনগুলোতে এবং বাস স্ট্যান্ডগুলো তেও ছিল মোটামুটি যাত্রীর চাপ।
আপনারা জানেন যে বাংলাদেশ রেলওয়ের দুটি অঞ্চল রয়েছে পূর্ব এবং পশ্চিম। ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া জয়দেবপুর জংশন স্টেশন হয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের ময়মনসিংহ গামী ট্রেনগুলো মোটামুটি বিলম্ব না নিয়ে খুব একটা বেশি যাত্রী চাপ না নিয়ে চলাচল করতে ছিল। যাত্রীদের ও কোন প্রকার হয়রানি বা কোন প্রকার কষ্ট ভোগান্তি খুব পোহাতে হয়নি। তবে ফিরতি পথে লোকাল এবং আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতেও ছিল মোটামুটি ভিড় আর লোকাল ট্রেনগুলোর ছাদে বাফারে ইঞ্জিনে দাঁড়িয়ে থেকে যাত্রীদের অনেকেরই অনেক ধরনের অসুবিধা হয়েছে এই গরমে কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানা যায়।
এবং বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিম অঞ্চলের লালমনি রংপুর কুড়িগ্রাম বুড়িমারী এবং দিনাজপুর হয়ে পঞ্চগড় অভিমুখী চলাচলকারী আন্তঃনগর ট্রেনগুলো অল্প সংখ্যক বিলম্বসময়ে নিয়ে চলাচল করতে ছিল তবে যাত্রীদের ও মোটামুটি ছিল ভিড়। কেউ কেউ বলেন টিকেট পেয়েও সিট পাওয়া যায় না বসতেও পারেনি ।
এবং খুলনা হয়ে ঢাকা রোডে চলাচল করে ট্রেনগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণ যাত্রীর চাপ নিয়ে চলাচল করছিল তবে তেমন একটা বিলম্ব ছিল না। তবে যাত্রীদের মোটামুটি ভিড়ের কারণে অনেকে টিকিট কেটেও ছিট না পেয়ে বসতে পারেনি অনেকে দাঁড়িয়ে অনেক কষ্ট করে আসতে হয়েছে। না হলে অনেকের আবার চাকরিতে সময় মতো জয়েন করতে পারবেন না। তবে আবার পশ্চিমাঞ্চলের কিছু কিছু ট্রেনগুলোতে বাড়ানো হয়েছে অতিরিক্ত এক্সট্রা বগি।
তবে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলো মোটামুটি বিলম্ব নিয়া চলাচল করলেও ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলোতে তেমন একটা যাত্রীদের চাপ ছিল না তবে মোটামুটি ফাঁকাও ছিল না যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধা ছিল টিকেটের ও কোন হয়রানি মূলক ঘটনা শোনা যায়নি। সর্বোপরি বলা যায় যে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাড়ি ফেরা কর্মমুখী মানুষগুলোর কর্মস্থলে ফিরতে এখনো পর্যন্ত কোনো প্রকার ট্রেন দুর্ঘটনার কথা শোনা যায়নি বলে সবাই অত্যন্ত আনন্দিত এবং খুশি ও আনন্দ ভাগাভাগি শেষে খুশিমুখে হাসিমুখে কর্মস্থলে ফিরতে পেরেছে বলে ট্রেনে ভ্রমণকারী যাত্রীরা অনেকেই বাংলাদেশ রেলওয়ে কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।