মশার উপদ্রবে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা শহীদ আহসান উল্লা মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে

দেশের খবর
Spread the love
Print Friendly, PDF & Email
image_pdfimage_print

মোঃ ফরহাদ হোসেন খলিল
স্টাফ রিপোর্ট গাজীপুর
মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ
গাজীপুর মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। গরম কাল আসার সাথে সাথে ভয়াবহ আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে মশার বিস্তার। দিনে কিছুটা স্বস্তির পেলও রাতে মশার কামড়ে নাজেহাল গাজীপুর বাসী৷ রাতের বেলায় মশার কয়েল জ্বালিয়ে ও মশারি তো মানছে না মশার উৎপাত৷ আর একটু সন্ধ্যা হলেই মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পাচ্ছে আরও কয়েক গুন। কিন্তু মশা নিধনের জন্য প্রতি বছর বাজেট থাকলেও এবার কর্তৃপক্ষ মশা নিধনে তেমন কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করছে না। তবে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৪৭ নং ওয়ার্ড মশা নিষ্কাশনের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে ধোমা

গাজীপুরে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে , ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথেই মশার উপদ্রব ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে মানুষের দৈনন্দিন কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। কয়েল, স্প্রে বা মশারি টাঙ্গিয়েও মশার উৎপাত থেকে রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর মশার উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন মহানগর বাসী। কেউই স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারছেন না। বিশেষ করে উৎপাদন কারখানা বিভিন্ন নিরাপত্তা প্রহরীরা জানিয়েছেন যে, পেটের তাগিদে তাদের নাইট সিফটে প্রতিষ্ঠান পাহাড়া দিতে হয় । কিন্তু মশার কামড়ে তারা আজ অতিষ্ঠ । মৌমাছি ঝাঁকের মত এসে মশা গায়ে পড়ে ।একদিকে মশার উৎপাত অন্যদিকে বৈশাখের উপচে পড়া গরম৷
গাজীপুর ইন্ডাষ্টিক শিল্পাঞ্চল হওয়ায় মিল ও কলকারখানার দূষিত বর্জ্য, বিভিন্ন স্থানের জমে থাকা নোংরা পানি এবং যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলায় মশা প্রজনন ক্ষেত্রে পরিণত হচ্ছে। মহানগর বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন স্থানে বসানো ডাস্টবিন ও আবর্জনা ফেলার স্থান নিয়মিত পরিষ্কার না করায় মশার বিস্তার ক্রমশ বাড়ছেই। আর এতে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে শিশুরা। তাছাড়া মশার উৎপাতে স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা পড়াশুনাও চরম ব্যাঘাত ঘটছে।

নগরের বিভিন্ন জায়গায় সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলতে উদ্বেগ প্রকাশ করে জানান, সারাদিন মশার উপদ্রব থাকলেও সন্ধ্যার পরপরই এই উৎপাত আরও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। ফলে সন্ধ্যায় মশার কয়েল জ্বালিয়ে বা স্প্রে করো স্বস্তি পাচ্ছেন না নগরবাসী এমনকি মশার উৎপাতে নাজেহাল হয়ে মশারি টাঙ্গিয়ে বা ইলেকট্রিক বেড ব্যবহার করা হচ্ছে। অনেকই মশার কামড়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এতে করে রোগীর চাপ বাড়ছে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার মেডিকেলে৷ মেডিকেলে আশা রোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায় তারা মশার কামড়ে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন ৷

শহীদ আহসানুল্লাহ মেডিকেলের বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলে জানা যায় ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল এই তিন মাস পর্যন্ত মশা বংশবিস্তার ঘটায়। এ সময় মশাবাহিত রোগে মানুষ বেশি আক্রান্ত হয়। মশার কামড়ে মানুষ ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকনগুনিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারে। বিশেষ করে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। এজন্য সবাইকে সচেতন থাকার পরামর্শ দেন তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *