আন্দোলনকে ঘিরে কুমিল্লায় মাঠে ছিলেননা আ”লীগের এমপিরা।

Spread the love
Print Friendly, PDF & Email
image_pdfimage_print

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে বিএনপি-জামায়াত যখন কুমিল্লাকে দখল নেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছিল তখন আওয়ামী লীগের বেশিরভাগ নেতা ছিলেন নিষ্ক্রিয়। বড় পদধারী নেতাদের বেশিরভাগই ছিলেন ‘হাওয়া’। তবে একদিন কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের পৃথক পৃথকভাবে উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছিল মিছিল ও সমাবেশের। এর বাইরে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় মহানগর আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের কিছুটা উপস্থিত দেখা গেলেও তৎপরতা দেখা যায়নি অন্য উপজেলার নেতাকর্মীদের। এদিকে বিএনপি-জামায়াতের নাশকতারোধে দলের এই ভূমিকায় ক্ষুব্ধ তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। কঠিন সময়ে মাঠে ছিলেন না বেশিরভাগ এমপি। দলীয় এগারো এমপির এখনও দেখেননি এলাকার মানুষ। এছাড়া আন্দোলন ভয়াবহ দেখা দেওয়ায় চিকিৎসাসহ নানা অজুহাতে বিভিন্ন দেশে পারি জমান কয়েকজন এমপি। জানা গেছে, ১৮ জুলাই থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম পার্শ্ববর্তী কোটবাড়ি এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় শিক্ষার্থীরা। এই সংঘর্ষ কুমিল্লার পদুয়া বাজার পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। ১৯ জুলাই দিবাগত রাত ১২টায় কারফিউ জারির আগ পর্যন্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) সামনে থেকে কোটবাড়ি পর্যন্ত ছিল রণক্ষেত্র। ওই এলাকায় শিবিরের অনেক মেস ও ছাত্রাবাস থাকায় দলটির নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের সাথে মিশে দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। ১৮ জুলাই ছাত্রলীগ কুবির ক্যাম্পাসের দিকে অগ্রসর হতে গেলে তাদের সঙ্গেও সংঘর্ষ বাধে। ঐদিনে বিকেলে টিকতে না পেরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরাও পিছু হটতে বাধ্য হন। একইদিন বিকেল পৌনে ৪টায় দিকে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কোটবাড়ি এলাকায় অবরোধ করেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এসময় পুলিশের অবস্থান লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন তারা। এতে সদর দক্ষিণ মডেল ভারপ্রাপ্ত কর্মকতার ব্যবহৃত গাড়িটি ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। পরের দিনেই পুলিশ ও আন্দোলনকারী মাঝে দিনভর সংঘর্ষে ছাত্র সাংবাদিকসহ আহত হন শতাধিক। এসময় পুলিশের দুটি পিকআপ গাড়ি ও বিজিবির গাড়ি অগ্নিসংযোগ করেন আন্দোলনকারীরা। জানা গেছে, সঙ্কটময় এই সময়ে ক্ষমতাসীন দলের এমপিরা ছিলেন ‘রিলাক্স’। এগারো এমপির মধ্যে ওই সময় এলাকায় ছিলেন না কেউ। কুমিল্লা-১১ আসনের এমপি মুজিবুর হক মুজিব কোটা আন্দোলনের সহিংসতার শুরুতে সৌদি-আরবে অবস্থা নেন। কুমিল্লা-৮ আসনের এমপি এস কে শামীম অবস্থান নেন চীনে। এছাড়া বাকী দুই এমপি বিদেশে অবস্থা নেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। বাকী সাতজন ঢাকাতে অবস্থা নেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভিন্ন উপজেলা শতাধিক নেতাকর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নেতারা তো মাঠে নেই। আমরা কর্মীরা কি যুদ্ধ করব? নেতাদের কোনো নিদের্শনা আমাদের দিতে হবে। এ বিষয় জানতে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লোটাস কালাম এমপিকে একাধিকবার কল দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি। কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রওশন আলী মাস্টার বলেন, প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে সব কিছু খোঁজ খবর রাখছেন। এ বিষয়ে আমার আর কিছু বলার নেই।

সূত্র দেশ টিভি অনলাইন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *