গ্রাহকের কোটি টাকা নিয়ে জননী সার্বিক গ্রাম সমবায় সমিতির পলায়ন

Spread the love
Print Friendly, PDF & Email
image_pdfimage_print

গোদাগাড়ী প্রতিনিধঃ
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় জননী সার্বিক গ্রাম সমবায় সমিতি লিমিটেড ঋণদান কর্মসূচি পরিচালনার নাম করে গ্রাহকের ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

জমাকৃত টাকা ফেরত পেতে গোদাগাড়ী মডেল থানার শরণাপন্ন হয়েছেন উপজেলার লস্করহাটী গ্রামের মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে হাবিবুল্লাহ শিহাব (২১)।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, অভিযুক্ত বাসুদেবপুর গ্রামের মো. হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন (৩১)। তাঁর লস্করহাটীতে পরিচালিত “জননী সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিঃ”। যার নিবন্ধন নং- ১২৭৪/২০১৮।

তিনি সমবায় সমিতি লিঃ থেকে ঋণ কার্যক্রম এবং লাভের ওপর হাবিবুল্লাহ শিহাবের কাছ থেকে ৪ লক্ষ টাকা, মো. তারেক হাবিবের কাছ থেকে উঠে লক্ষ ২০ হাজার টাকা, মো. সোহেল রানার কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা, মো. রবিউল ইসলামের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা, মো. মেহেদী হাসান স্বপনের কাছ থেকে ৬ লক্ষ টাকা, মো. সুমন আলীর কাছ থেকে ৩ লক্ষ টাকা, মোসা. মতিয়ারা বেগমের কাছ থেকে ৭ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা, মোসা. ফিরোজা বেগমের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা, মোসা. শিরিনা বেগমের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা, মো. মাহফুজুর রহমানের কাছ থেকে ৩ লক্ষ টাকা, মো. শামীম আলীর কাছ থেকে ৯০ হাজার টাকা, মো. মারুফ হাসানের কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা, মো. কিসমত আলীর কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা, শ্রী পরিতসের কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা, মো. সোহেল রানার কাছ থেকে ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, মো. ফারুক হোসেনের কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা, মোসা. রোজিনা বেগমের ১৬ লক্ষ টাকা, মো. শহিদ বিশ্বাসের ৩ লক্ষ্য টাকাসহ আরও এমন অনেক গ্রাহকের কাছ থেকে সর্বমোট ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা নিয়েছে।

সরজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানান, টাকার বিপরীতে আমাদের সকলকে কিছুদিন ধরে লাভের টাকা প্রদান করছিল। কিন্তু বর্তমানে আমাদের বলছে আজ না কাল দিব। এমন টালবাহানা করছিল। এভাবেই গত মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দেলোয়ার হোসেন আমাদের সকলের অজান্তেই কাউকে কিছু না জানিয়ে সকলের টাকা নিয়ে আমাদের সাথে প্রতারণা করে পালিয়ে গেছে।

অভিযোগকারী হাবিবুল্লাহ শিহাব বলেন, বর্তমানে দেলোয়ার হোসেনের মোবাইল ফোন বন্ধ রেখেছে। সে বর্তমানে কোথায় আছে তা কারও জানা নাই বলে জানতে পারি। পরবর্তীতে আমরা সকলে মিলে গত বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) অনুমানিক দুপুর ১ টায় দেলোয়ারের পরিবারের ও শ্বশুড়ীর বাড়ীতে দেলোয়ারের খোঁজ নিতে গেলে আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে। এখন আমরা নিরুপায় হয়ে গেছি। আমরা চাই তাঁকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক।

এবিষয়ে গোদাগাড়ী মডেল থানার এসআই আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা অভিযোগের পরপরই বেশ কয়েকবার অভিযান পরিচালনা করেছি। কিন্তু, অভিযুক্তকে পাওয়া যায়নি। পলাতক থাকায় তাঁর স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করলে তাঁরা জানায়, দেলোয়ারসহ হাবিবুল্লাহরা একই সাথে ওঠাবসা করে। পরিবারের সাথে কোন সম্পর্ক রাখেনি। এখন তাঁরা ব্যবসা করেছে, তাঁরাই বিষয়টা জানে।

এসআই আনোয়ার আরও বলেন, তারপরও আমরা চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *