মোঃ আব্দুস সালাম:
ঢাকা কমলাপুর যাত্রীদের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে ষ্টেশনের মূল ভবনেই আবাসিক হোটেলের মতো বিশ্রাম কক্ষের ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে হোটেলে শতভাগ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে পরিবেশ অত্যন্ত সুন্দর এখানে বাজে কোনো লোকের আড্ডা নেই।
এই হোটেলে মোট ১৬টি কক্ষ রয়েছে এর মধ্যে একটি কক্ষ শুধুমাত্র হোটেলের কর্মচারীরা ব্যবহার করেন আর বাকি ১৫টি কক্ষ বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহার করা হয় এর মধ্যে ৭টি কক্ষে রয়েছে এসিসহ ফ্যান আর বাকি ৮টি কক্ষে শুধু ফ্যান রয়েছে।
এসি কক্ষে চারজন থাকতে পারবে এমন রুম রয়েছে ৫টি এসব কক্ষের ভাড়া দুই হাজার টাকা দুজন করে থাকতে পারবেন এমন কক্ষ রয়েছে দুটি এসব রুমের ভাড়া ১৫০০ টাকা অন্যদিকে এসি ছাড়া রুমগুলোর ভাড়া ১০০০ টাকা করে প্রতি কক্ষে দুজন করে থাকতে পারবেন।
ক্ষেত্রবিশেষে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কম নিয়ে থাকেন তাঁরা যেকোন সময় চেক-ইন করা যায় সঙ্গে এনআইডি কার্ড থাকা বাধ্যতা মূলক চেক আউট টাইম ১২ টায়
একটি সাধারণ মানের আবাসিক হোটেলে সাধারনত যেসব সুবিধা পাওয়া যায় যেমন– খাট, টি-টেবিল, সোফা, ড্রেসিং টেবিল, টেলিভিশন, কাপড় রাখার জায়গা, সাবান, শ্যাম্পু, টুথপেস্ট, বিশুদ্ধ পানি, ফ্রি ওয়াইফাই ও লন্ড্রী সবই আছে রেলওয়ে আবাসিক হোটেলে। খাবারের জন্য দ্বিতীয় তালা আছে “বিরতি রেস্টুরেন্ট”।
এই আবাসিক হোটেলটি আগে তৃতীয় একটি পক্ষ ‘নিকুঞ্জ’ নামে পরিচালনা করত বিশাল অঙ্কের বকেয়া থাকায় ২০২২ সালে রেলওয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে পরে হোটেলটি বন্ধ হয়ে যায় অবশেষে এ বছরের (২০২৪) জানুয়ারি মাসে এটি নতুন করে চালু করে বাংলাদেশ রেলওয়ের মার্কেটিং বিভাগের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম সেল’।
কেউ চাইলে ট্রেনে বসেই এই নাম্বারে কল করে রুম বুকিং করতে পারবেন।
নাম্বারটি হচ্ছে— 01330 512069