জন্মভূমি নিউজ ডেক্স
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি: বাস্তবতা ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৫ মে) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ বিষয়ক অভিযোগ কমিটি এর আয়োজন করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তানজিমা জোহরা হাবিবের সভাপতিত্বে সেমিনারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সাদেকা হালিম, রাবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম, রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনালের জজ জিয়াউর রহমান, অ্যাডভোকেট ইসমত আরা, কমিটির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মাহবুবা কানিজ কেয়া, আইন বিভাগের অধ্যাপক মো. আবদুল আলিম, মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাদেকা বানু প্রমুখ বক্তব্য দেন। কমিটির সদস্য-সচিব সহযোগী অধ্যাপক রনক জাহান সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন।
সেমিনারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, বাংলাদেশে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি হচ্ছে। জাতীয় মহিলা পরিষদের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২ সালে ৭১৫ জন নারী নির্যাতন ও ২২৬ জন নারী ধর্ষনের শিকার হয়েছে। তারা নির্যাতিত হওয়া সত্ত্বেও সমাজে তাদেরকে হেয় হতে হয়েছে। শুধু মেয়েদের ক্ষেত্রে নয় ছেলেরাও হয়রানির শিকার হয়ে থাকে। বিভিন্ন তথ্যে দেখা গেছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রতিনিয়ত বিভিন্নভাবে শিক্ষার্থীরা যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা বলছে তা নিয়ে তারা কোথাও কোনো অভিযোগ করতে পারছে না। শিক্ষক কর্তৃক অনেক শিক্ষার্থী যৌন হয়রানির শিকার হলেও তারা অভিযোগ করতে পারেনা। এই পৃথিবীটা অনেক খারাপ জায়গা। বিশেষ করে মেয়েদের জন্য। যতই আপনজন হোক না কেন মেয়েদেরকে যৌন হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। নারীদেরকে একটা প্লাটফর্ম নিশ্চিত করতেই হবে, যেখানে নারীরা তাদের কথা বলতে ও তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে পারবে।
সেমিনারে রাবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, একজন মানুষ যখন তার শুভ চিন্তাগুলো হারিয়ে ফেলে তখন তার মানসিক রোগ হয়, মানসিক অসুস্থতা দেখা দেয়। সে তার যৌক্তিক কারণে নানাবিধ হীন অপরাধ করে। তবে এটা ঘটে যেতে থাকলে সমাজে তা ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। আমরা দেখি সমাজে যদি কোনো অপরাধমূলক ঘটনা ঘটে তাহলে তা আইনের আওতায় আনা হয়। কিন্তু তাকে সচেতন করার জন্য যে কার্যক্রম প্রয়োজন তা নেওয়া হয় না। আমরা চাই প্রকৃত অপরাধীরা শাস্তির আওতায় আসুক, তবে তাকে সচেতন করার পর। তারপরেও যদি তারা অপরাধ করতে থাকে, তবে তাকে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা উচিৎ। এমনকি সে হতে পারে পুরুষ, নারী, শিক্ষক, শিক্ষার্থী অথবা কর্মচারীসহ যে কেউ।