ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
মিয়ানমারে ভয়াবহ অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকা শতাধিক কর্মীকে একটি বিশেষ ফ্লাইটের মাধ্যমে নিয়ে গেল চীন। এর মধ্য দিয়ে এটাই প্রমাণিত হচ্ছে মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে। খবর বিবিসি
মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে চলমান সহিংসতার কারণে হাজার হাজার মানুষ পাচারের শিকার হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মিয়ানমারে চলমান অস্থিরতার কারণে অনেক অপরাধ কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। চীন মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী এবং বিদ্রোহী গোষ্ঠীর এসব অপরাধ কেন্দ্র বন্ধের জন্য চাপ প্রয়োগ করছে।
এসব কেন্দ্র থেকে অর্থ সরবরাহের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে। গত বছর চীন সীমান্তের কাছে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী জান্ত বাহিনীকে পরাজিত করার ফলে অনেক অপরাধ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যায়।
ধারণা করা হচ্ছে শত শত চীনা মানবপাচারের শিকার হয়েছে। এদের মধ্যে অনেককে চীনা পুলিশের কাছে তুলে দেয়া হয়। ২০২১ সালে সামরিক এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে জান্তা বাহিনী। এরপরই দেশটির পরিস্থিতি পাল্টে যায়। বিদ্রোহী গোষ্ঠীরা সামরিক বাহিনীকে হটাতে বিভিন্ন এলাকায় হামলা শুরু করে। এসব বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে অনেক চীনারাও মানবপাচারের শিকার হওয়ার ফলে কাজ করতে বাধ্য হয়। যার সর্বশেষ গ্রুপটি পাওয়া যায় মিয়ানমারের দক্ষিণে।
ডয়েচে লেভের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, থাইল্যান্ড সীমান্তে কাছে অবস্থিত মিয়ানমারের শহর মি সোত থেকে ১৫০ জন মানুষকে ওই ফ্লাটের মাধ্যমে নিয়ে যায় চীন। ওই শহর থেকে চীন এক হাজার মানুষকে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গত বছর জাতিসংঘের প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের অপরাধ কেন্দ্রে ১ লাখ ২০ মানুষকে পাচারের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। যার মধ্যে ১ লাখ কম্বোডিয়ানও রয়েছে।