গাজার ‘প্রধানমন্ত্রীকে’ হত্যার দাবি ইসরায়েলের

আন্তর্জাতিক
Spread the love
Print Friendly, PDF & Email
image_pdfimage_print

জন্মভূমি নিউজ ডেস্ক :
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ডি-ফ্যাক্টো প্রধানমন্ত্রী ইশাম দা’লিসকে হত্যা করেছে দখলদার ইসরায়েল। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ভোরে গাজাজুড়ে ব্যাপক বোমা হামলা চালায় ইসরায়েল। এ হামলায় ইশাম দা’লিস নিহত হন। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল এসব তথ্য জানিয়েছে।

মঙ্গলবার ভোরে গাজার ঘুমন্ত মানুষের ওপর বর্বরোচিত বোমা হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে চারশরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে অসংখ্য নারী ও শিশু রয়েছে।

এদিকে, গাজায় ইশাম দা’লিসের পদবী ছিলো ‘সরকারের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ’ কমিটির প্রধান, যা প্রধানমন্ত্রীর সমপর্যায়ের। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ইসরাইলের হাতে রৌহি মুশতাহার নিহত হওয়ার পর তার স্থলাভিষিক্ত হন হামাসের ডি-ফ্যাক্টো প্রাধানমন্ত্রী ইসাম দা’আলিস। ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) ভাষ্য, দা’আলিস গাজা উপত্যকায় হামাস শাসনের কার্যকারিতা নিশ্চিত করা এবং সংগঠনটির সব শাখার মধ্যে সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিলেন।

আইডিএফ ঘোষণা করেছে, হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজা উপত্যকার ‘ডি-ফ্যাক্টো প্রধানমন্ত্রী’ ও গোষ্ঠীটির আরও বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে তারা।

ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর দাবি, ইশাম দা-লিস ছাড়াও গাজার হামাস সরকারের বিচার মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক আহমেদ আল-খাত্তা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আবু ওয়াতফা ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান বাহজাত আবু সুলতান নিহত হয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মাহমুদ আবু ওয়াতফা হামাস সরকারের পুলিশ ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করতেন।

এক বিবৃতিতে আইডিএফ জানিয়েছে, বিস্তৃত অভিযানের অংশ হিসেবে তারা মঙ্গলবার ভোর থেকে গাজা উপত্যকার কয়েক ডজন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায়। সেসময় তারা হামাসের ওই চার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে ‘টার্গেট করে’ হত্যা করেছে। এই হামলায় আল-খাত্তা, আবু ওয়াতফা এবং আবু সুলতানের নিহত হওয়ার খবরও নিশ্চিত করা হতে পারে বলে জানিয়েছে আইডিএফ।

ইসরায়েল বলছে, এই হামলার লক্ষ্য হলো হামাসের সামরিক ও সরকারি সক্ষমতাকে আঘাত করা এবং ইসরায়েল ও এর নাগরিকদের জন্য হুমকি দূর করা। এমনকি, দখলদার দেশটি হুমকি দিয়ে আরও বলেছে, যদি তাদের জিম্মিদের হামাস ছেড়ে না দেয়, তাহলে গাজায় এ ধরনের হামলা অব্যাহত থাকবে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *