শ্রম আইনের মামলায় ড. ইউনূসের জামিনের মেয়াদ বাড়লো

দেশের খবর
Spread the love
Print Friendly, PDF & Email
image_pdfimage_print

জন্মভূমি ডে

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের রায় বিরুদ্ধে আপিল আদালত থেকে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের জামিনের মেয়াদ বেড়েছে।
রোববার (৩ মার্চ) শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম এ আউয়ালের আদালত তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জামিনের মেয়াদ বর্ধিত করে আদেশ দেন।
তবে কতদিন পর্যন্ত এ মেয়াদ বাড়বে আদালত সে বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত দেবেন। আর ইউনূসের পক্ষে করা আপিলের বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৬ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।

এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি সকালে সাজা বাতিল চেয়ে আপিল আবেদন করেন তাদের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন। এ সময় আপিলকারীদের পক্ষে আত্মসমর্পণ পূর্বক জামিনের আবেদনও করা হয়। ওইদিনই আসামিপক্ষের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে ৩ মার্চ পর্যন্ত তাদের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন আদালত।

অন্য তিন আসামি হলেন গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।

এর আগে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি ঢাকার শ্রম আদালত-৩ এর বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা তাদের বিরুদ্ধে সাজার রায় দেন। তাদের শ্রম আইনের ৩০৩ (ঙ) ধারায় সর্বোচ্চ ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অপরদিকে ৩০৭ ধারায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেন আদালত। এরপর আসামিপক্ষ আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করেন। আদালত সে আবেদন মঞ্জুর করে পাঁচ হাজার টাকা বন্ডে এক মাসের জন্য জামিন দেন।

২০২৩ সালের ৮ মে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা বাতিলের আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের লিভ টু আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।

একই বছর ৬ জুন আদালত তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। ওই বছর ২২ আগস্ট এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে গত ৮ নভেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য রাখেন তারা। এরপর থেকে মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়। গত ২৪ ডিসেম্বর এ মামলায় উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রাত সোয়া ৮টার দিকে ১ জানুয়ারি রায়ের দিন ধার্য করেন শ্রম আদালত।

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের নামে এ মামলা করেন।

মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ শ্রম বিধিমালা ১০৭ বিধি ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *