-
- জাবি প্রতিনিধি
একুশে ফেব্রুয়ারীর প্রথম প্রহরীতে সবাই সম্মানেরসহিত খালি পায়ে ফুল নিবেদন করলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ময়লার ঝুড়িতে পরিণত হয় দেশের সর্বোচ্চ উচ্চতার মিনার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার।এ সময় নিজ উদ্যোগে শহিদ মিনার চত্ত্বর পরিষ্কার কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেখা গিয়েছে দর্শন বিভাগের বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীদেরকে।
গতকাল বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকেই দর্শন বিভাগের বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা এ কার্যক্রম শুরু করেন।
মহান ভাষা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে অরক্ষিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার।বুধবার(২১ ফেব্রুয়ারী) সরজমিনে দেখা যায় দুপুরের পর থেকেই বহিরাগত দর্শনার্থীদের ভিড় জমতে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। এসময় উপস্থিত জনতা জুতা পায়ে মূল বেদিতে উঠে পড়েন। অনেকেই জুতা পা দিয়ে ছবি তুলছেন শহীদ মিনারের বেদিতে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কোনো নিরাপত্তা কর্মীদের দেখা যায়নি। অনেকেই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া ফুল ছিড়ে নিজের খোপায় বাধছেন।আবার বেদীতে কাপলদের জোড়ায় জোড়ায় বসে বাদাম ভোজের নজিরও মিলেছে অহরহ।
এবিষয়ে দর্শন ৫১ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মাহিন সুলতানা বলেন, প্রতিবছরই ২১ শে ফেব্রুয়ারিতে আমরা দেখেছি সবাই ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে যায় কিন্তু এ ফুলগুলোই পরবর্তীতে সেখানে ময়লা হিসেবে দিনের পর দিন পরে থাকে, তাই শহীদ মিনারের সম্মান রক্ষার্থে এবং ভাষা শহীদদের প্রতি একটু ভিন্নভাবে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য এই পদক্ষেপটি গ্রহণ করা। সবাই তো ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় আমরা না হয় সেগুলো পরিষ্কার করে শ্রদ্ধা জানালাম। শুধু একদিনের জন্য নয়, শ্রদ্ধা আসুক মন থেকে সবসময়ের জন্য।
উল্লেখ্য এর আগের বছরগুলোতেও মাতৃভাষা দিবসে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করে আসছে দর্শন বিভাগ।