এম, এ কাশেম,বিশেষ প্রতিনিধি চট্টগ্রাম :: উত্তর চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার ১ নং করেরহাট ইউনিয়নে গতকাল নাকি বিএনপি’র ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের মীরসরাই উপজেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক আমিন শরিফ এর ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে তাকে গুরুতয আহত করা হয়েছে।
ঘটনাটি সত্যি-ই দুঃখ জনক ও বটে বলে দলের একাধিক নেতা-কর্মীরা তাদের অভিমতে প্রকাশ করেছেন।
কারণ, বিগত ১৬-১৭ বছর আওয়ামী দুঃশাসনামলে বিএনপি’র প্রতিটা নেতা-কর্মী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দলের জন্য কাজ করেছে। নিরাপত্তা হীন তার কারণে অনেকেই বাড়ি-ঘর ও এলাকা ছেড়ে পালিয়ে পালিয়ে বেড়াতে বাধ্য হয়েছে। কেউ কেউ আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় মারাত্মক আহত ও হতে হয়েছে। কিন্তু, গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর এখন আবার বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা হামলার শিকার হতে হবে কোন সন্ত্রাসী দলের হাতে? এবং এখনো যদি সেই বিভিষিকাময় আওয়ামী আমলের মতো হামলার শিকার হতে হয় বিএনপি’র নেতা-কর্মীদের তা কি মেনে নেয়া যায় বা কেউ মেনে নিতে পারবে?
বিএনপি’র একাধিক প্রবীণ নেতা-কর্মী এ প্রতিবেদকের কাছে অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী আমলে লেখার মতো মীরসরাইতে তেমন কাউকে পাওয়া যায়নি শুধু আপনি ছাড়া। এবং একা-ই লড়াই করে গেছেন আপনি আওয়ামী গুন্ডাদের বিরুদ্ধে। যার ফল স্বরূপ আওয়ামী গুন্ডাদের পর পর ৪ বার হামলায় রক্তাক্ত আহত হয়ে রক্তাক্ত সার্ট নিয়ে রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে ও কোনো সাংবাদিক কে পর্যন্ত পাইননি বাদ-প্রতিবাদ তো দুরের কথা একটু শান্তনা দেয়ার জন্য। আর লাখ টাকার জিনিসাধি যে লুটে নিয়েছে তার মধ্যে এখন পর্যন্ত ১ টা নিতে পারেননি অভাবের তাড়নায়। অথচ সাংবাদিকতা পেশার মহা মূল্যবান জিনিস না থাকায় পেশাগত কাজ ও চালিয়ে যেতে কষ্ট হচ্ছে আপনার।আর এখন দেখা যাচ্ছে-লেখকের যেমন অভাব নেই নেতা-কর্মীর ও অভাব নেই! এবং যেই সব সাংবাদিক নামধারী আওয়ামী লীগের দালালরা বিএনপি’র নেতা-কর্মীদের পুটকি (হোন্দেত্তে) তে বাঁশ দিয়েছে তারাই এখন অবৈধ ব্যবসা সহ নানাবিধ: অপকর্মের সাথে জড়িত ওই সব বিএনপির নেতা-কর্মী নামধারীদের সাথে রাতের আঁধারে বিশেষ সখ্যতা সহ দহরম মহরম চালিয়ে যাচ্ছে!!! এ প্রতিবেদক শান্তনার তাদেরকে বলছেন- যে, যে প্রসঙ্গে লেখার আগ্রহ রাখে তাদের কে করতে দেয়া ছাড়া আর কি-ই বা করার আছে ? আপাতত: যে বা যারা যাহা লিখছে এবং লিখতে চাচ্ছে তাহা-ই লিখে যেতে দেয়া ছাড়া কোনো গত্যন্তর ও নেই।
প্রাসঙ্গিক ক্রমে দলের অনেক প্রবীণ নেতা-কর্মীরা বলছেন- বিগত আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের দিনগুলোর কথা বাদ দিয়ে গত ৫ আগষ্টের পর থেকে মীরসরাইতে একের পর এক বিএনপি’র নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা কে বা কারা চালিয়ে বিএনপি’র রাজনীতি কে দুর্বল করার চেষ্টা চালাচ্ছে তা বিএনপি’র হাইকমান্ড সহ জেলা ও উপজেলা নের্তৃবৃন্দকে সযাগ দৃষ্টি রেখে খেয়াল রাখতে হবে। অদুর ভবিষ্যতে আর যেনো কোনো ধরনের সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে দলের নেতা-কর্মীদের আহত হতে না হয় সে জন্য দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সহ হাইকমান্ড ও জেলা-উপজেলা নের্তৃবৃন্দের দ্রুত হস্তক্ষেপ চেয়েছেন দলের অগনিত সাধারণ নেতা-কর্মীরা।
