এম, এ কাশেম, বিশেষ প্রতিনিধি চট্টগ্রাম উত্তর চট্টগ্রামের প্রথম পৌরসভা বারইয়ারহাট। পুরো বারইয়ারহাট বাজির এবং তৎ সংলগ্ন এলাকা ছিলো স্থানীয় ২ নং হিঙ্গুলী ইউনিয়নের আওতাধীন।
বর্তমানে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে তৎ সরকারের স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী জিল্লুর রহমান (বর্তমানে মৃত) কে দিয়ে ২০০০ সালের ১৮ নভেম্বর বুধবার এই বারইয়ারহাট পৌরসভা টি উদ্বোধন করা হয়েছিলো। এক-ই বছরের ২৭ এপ্রিল পৌরসভার কার্যক্রম শুরু করা হয়। ২.১২ বর্গকিমি (০.৮২ বর্গমাইল) আয়তনের এ পৌরসভাটি৩টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। ২ নং হিঙ্গুলী, ৩ নং জোরারগঞ্জ ও ৪ নং ধুম ইউনিয়নের কিছু কিছু অংশ নিয়ে এই পৌরসভার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
তখন রাজনৈতিক পরিবেশ-পরিস্থিতি এখনকার মতো না থাকার সুবাদে এবং বিএনপি’র জনপ্রিয়তা ও জনসমর্থন বেশি থাকায় প্রথম নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী হাজ্বী জালাল উদ্দিন প্রথম পৌর প্রশাসক নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু, এর থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও তৎ দলীয় নেতা ছাড়া অন্য কোনো দলের প্রার্থী কে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করার ও সুযোগ দেয়া হয়নি। পৌর মেয়র এর চেয়ারে বসার সুযোগ দেয়া তো দুরের কথা।
দীর্ঘ বছরের পর বছর উক্ত পৌরসভার চেয়ার দখলে রেখেছিলো বারইয়ারহাট পৌরসভা আওয়ামী লীগের তৎসময়ের সভাপতি নিজাম উদ্দিন। তার বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সাধারণ ব্যবসায়ী ও বসবাস কারীদের ক্ষোভের দাবানল ছড়ানোর প
প্রাক্কলে তাকে পৌরসভার মেয়র থেকে বাদ দিয়ে পরবর্তীতে যেনতেন নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী কে নির্বাসনে পাঠিয়ে পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম কে পৌরসভার মেয়র বানিয়ে আওয়ামী লীগ ফের দখলে নিয়ে নেয় লাভজনক ওই পৌরসভার মেয়রের চেয়ার!
এক নাগাড় বছরের পর বছর যাবত সাধারণ মানুষের রক্ত চুষে খেয়ে চলেছিলো রাক্ষুসী ওই পৌর মেয়রের চেয়ার। শেষান্তে জনরোষ থেকে বাঁচতে আওয়ামীলীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত পলায়নের পর দলটির সরকারের পতন ঘটার সাথে সাথে-ই অন্যান্য অত্যাচার-নির্যাতন ও জুলুম সহ নানাবিধ: অপকর্ম চালানোর হোতা আওয়ামী লীগ নেতাদের পলায়নের সাথে বারইয়ারহাট পৌরসভার ওই মেয়র রেজাউল করিম খোকন ও পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
যদিও বা অভিযোগ রয়েছে- এলাকার গুটি কয়েক রাজনৈতিক ব্যাক্তি নামক টাকার ধান্দাবাজরা টাকার কাছে সব কিছু বিকিয়ে দেয়ার মতো করে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে উক্ত মেয়র রেজাউল করিম খোকন কে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছিলো।
এর পর থেকে বিগত ৬ মাস মেয়র বিহীন চলছে পৌরসভার কার্যক্রম। তবে, স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের নির্দেশ মোতাবেক জেলা প্রশাসকের আদেশে মীরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাময়িক ভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন পৌরসভার।
তবে, নাগরিক সুবিধা একেবারেই সর্ব নিম্নে হওয়ার কারণে বাজারের সাধারণ ব্যবসায়ী ও বসবাসকারীদের মধ্যে অনেকজন যে পৌরসভা থেকে নাগরিক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হয়/হবে সে পৌরসভা থেকে/রেখে কি লাভ? এমন যুক্তি উপস্থাপন করে পৌরসভা বাতিল এর দাবি নিয়ে সোচ্চার দেখা যাচ্ছে। তবে, পৌরসভা বাতিল এর পক্ষে অধিকাংশরাই জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সমর্থনপুষ্ট। আর বাতিল না চেয়ে বহাল রাখার পক্ষে রয়েছেন সংখ্যাগরিষ্ঠ বিএনপি সমর্থিতরই। ফলে, যোক্তিক বা অযোক্তিক যা-ই হোক্ তাতে ও দেখা যাচ্ছে রাজনৈতিক গন্ধাবশেষ!
বলাবাহুল্য : পৌরসভা বাতিল হওয়ার পর তা আগেকার মতো ইউনিয়নের আওতাহীন হয়ে আসলে সরকারি ভাবে যথেষ্ট সুযোগ-সুবিদা হাতছাড়া হয়ে যাবে যে তা নির্দ্ধিধায় বলা চলে।
তার পর ও যদি পৌরসভা বাতিল না হয়ে বহাল থাকে তাহলে প্রথমে ই ব্যস্ততম: সড়কের ওপর বসা সব ভ্রাম্যমাণ দোকান সরিয়ে দিয়ে সড়ককে পরিস্কার করে নিষ্কণ্টক যানবাহন চলাচলের পথ উন্মুক্ত করে দিতে হবে। দ্বিতীয় পুরো পৌরশহর ব্যাপী্ আলোর ব্যবস্থা করতে হবে। তৃতীয় তো চাঁদাবাজি মুক্ত রাখতে হবে। চতুর্থ : পরিস্কার ড্রেনেজ ব্যবস্থা পরিপূর্ণতায় রাখতে হবে পঞ্চম : করারোপ সিমার মধ্যে রাখতে হবে। পুরো পৌরশহর সিসি ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ষষ্ঠ : রাত ব্যাপী পাহারাদার/ নাইড গার্ড এর ব্যবস্থা রাখা সহ সকল ব্যবসায়ী ও বসবাস কারীদের পুর্ন নিরাপত্তা বিধান করে যেতে হবে। এ ছাড়া ও আরো বহুবিধ: সমস্যা রয়েছে যাহা ব্যবসায়ী সহ বসবাসকারী সবার মতামতের ভিত্তিতে ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
দীর্ঘ বছরের পর বছর ওই গুলো তেমন তেমন একটা না থাকায় সাধারণ ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বসবাসকারী প্রায় সবাই অতিষ্ঠ ছিলো।
আশা করা যায়- যদি পৌরসভা পূর্বেকার মতো বহাল থাকে তাহলে নতুন মেয়র যিনি হবেন তিনি যেনো আগের মেয়রের মতো না হন্ তাহা-ই সবাই চান।
উক্ত বারইয়ারহাট পৌরসভা বাতিল এর পক্ষে জনমত সৃষ্টি করানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে স্থানীয় জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে। ইতিমধ্যে পৌরসভা বাতিল এর পক্ষে যথাযথ মন্ত্রালয়ে আবেদন করার জন্য বাজারের ব্যবসায়ী ও বসবাসকারীদের কাছ থেকে স্বাক্ষর নেয়া শুরু করা হয়েছে। দাবির প্রতি সোচ্চার থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইজবুকে লিখনির মাধ্যমে জনমত সৃষ্টি করার কাজ ও করে যাচ্ছেন বারইয়ারহাট পৌরসভা বাজারের শান্তির হাট রোডের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ সাইফুল ইসলাম।
সাইফুল ইসলাম জানান, বারইয়ারহাট পৌরসভায় বর্তমানে হোল্ডিং ট্যাক্স সহ নানাবিধ: নাগরিক সুযোগ সুবিধা পাওয়া থেকে বঞ্চিত/ভোগান্তি। এবং চাঁদাবাজি সহ নানাবিধ: অপকর্মে প্রায় সবাই অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। আর তাই সবার-ই নিরব দাবি বারইয়ারহাট পৌরসভা বাতিল করে পূর্বেকার ন্যায় নাগরিক সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
পুরো বিষয়ে জানতে চাইলে উক্ত সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা তো উগ্রতা পছন্দ করিনা। যখন আমার পকেটে টাকা গুলো আগেকার জুলুমবাজ সরকারের চাটুকার মেয়র কর্তৃক করের নামে লুটপাট করে নিয়েছে তখনো আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম। আর এখনো এক-ই ভাবে প্রতিবাদ করছি। তিনি বলেন, বারইয়ার হাট পৌরসভা আমাদের থেকে করারোপের নামে রক্তচো
