নাটোরে শ্মশানের মন্দিরের তালা ভেঙে চুরি, পাহাদারকে হত্যা

দেশের খবর
Spread the love
Print Friendly, PDF & Email
image_pdfimage_print

জলমাভূমি নিউজ ডেস্ক:
নাটোরের কাশিমপুর মহাশ্মশানে পাহারাদারকে তরুণ হাত-পা বেঁধে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত ব্যক্তির নাম কুমার দাসকে (৬০)। তরুণ দাস পৌর এলাকার আলাইপুর মহল্লার মৃত কালিপদ দাসের ছেলে। গত ২৫ বছর ধরে তিনি শ্মশান পাহারা দিতেন।

তাকে হত্যার পরে শ্মশান মন্দিরের তালা ভেঙে ও গ্রিল কেটে নগদ টাকা ও পিতলের তৈজসপত্র লুট করা হয়েছে। শ্মশান ও মন্দিরের অন্য কর্মচারীরা তাঁর মরদেহ দেতে পায়।গত শুক্রবার দিনগত রাতের কোনো এক সময় তার হাত পা বেঁধে হত্যা করা হয়।

আজ শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে মহাশ্মশানের ভোগ ঘরের বারান্দায় বৃদ্ধ তরুণ কুমার দাসের হাত-পা বাঁধা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয় শ্মশানের কর্মচারীরা।

মহাশ্মশান কমিটির সাধারণ সম্পাদক সত্যনারায়ণ রায় জানান, শ্মশানের ভোগ ঘরের বারান্দায় তরুণ কুমার‌ দাসের মরদেহ হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে ছিল। পরে দেখা যায়, দান বাক্সের, ভান্ডার ঘরের তালা ভাঙ্গা এবং গ্রিল কাটা। সম্ভবত তাকে হত্যা করেই এখানে মন্দিরের টাকা এবং বাসন-কোসন চুরি করা হয়েছে।

তরুণ দাসের ছোট ভাই প্রদীপ কুমার দাস বলেন, ২৫ বছর ধরে তার ভাই শ্মশান পাহারা দিতেন।

তরুণ দাসের ছেলে তপু দাস বলেন, আমার বাবা অত্যন্ত নিরীহ একজন মানুষ ছিলেন। তার কারো সাথে শত্রুতা ছিল না।কেউ তাকে মারবে এটা আমরা কোনদিন ভাবতে পারিনি। যারা বাবাকে হত্যা করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

নাটোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্মশানের ভান্ডার ঘরের মালামাল লুটের কিছু আলামত পেয়েছে।প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মূল্যবান বাসন-কোসন সহ চুরি দেখে ফেলায় তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল মরগে প্রেরণ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *