রাজশাহী মোহনপুর প্রতিনিধিঃ
শিক্ষকতা একটি মহৎ পেশা। একজন শিক্ষক শুধুমাত্র পাঠদান করেন না,তিনি একজন পথপ্রদর্শক, যিনি একজন শিক্ষার্থীকে সঠিক পথে পরিচালিত করেন ও জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নতি করতে সহায়তা করেন। সম্প্রতি অন্তর্বর্তী কালীন সরকার গঠনের পর থেকে দেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো হচ্ছে। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে শিক্ষকদের সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার ও শারীরিক নির্যাতনের ঘটনাও ঘটছে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও অগ্রহণযোগ্য। শিক্ষকদের প্রতি এমন আচরণ শুধু অশোভন নয়, এটি সমাজের নৈতিক ভিত্তিকেও চ্যালেঞ্জ করে।
এরই ধারাবাহিকতায় রাজশাহী জেলার
মোহনপুর উপজেলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে গতকাল সকাল ১০ ঘটিকার সময় বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষককে হেনস্থার খবর পেয়ে স্থানীয় অভিভাবক এবং ছাত্র জনতা উপস্থিত হন।এবং তারা প্রধান শিক্ষকের অনুমতি নিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে মত বিনিময় শেষে শিক্ষকদের সঙ্গেও বসার জন্য প্রধান শিক্ষকের মহোদয়ের অনুমতি নেন। বিদ্যালয়ের বর্তমান ২৩ জন শিক্ষক ও ৭জন কর্মচারী কর্মরত, কিন্তু অভিভাবক এবং ছাত্র জনতার সাথে বসতে রাজি হয় নাই বিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক।এমনকি স্হানীয় অভিভাবক ও ছাত্র জনতার সাথে অশোভনমূলক আচরণ করেন তারা।
এক পর্যায়ে স্হানীয় অভিভাবক ও ছাত্র জনতার সাথে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন বিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক। শিক্ষকদের কাছে অপমানিত হয়ে অভিভাবক ও ছাত্র জনতা রেগে গিয়ে সেখান থেকে চলে আসেন।উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় না থাকায় সহকারী কমিশনার ভুমি (এসিল্যান্ড) মহোদয়কে বিষয়টি অবহিত করেন।
অভিভাবক ছাত্র-জনতার মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মোহনপুর উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আব্দুল আউয়াল, শিক্ষা সম্পাদক আব্দুল আজিজ, গোলাম মাওলা, নজরুল ইসলাম, হাসান আলী, মোহনপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম সহ আরও ৪০ থেকে ৫০ জন বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে শিক্ষকদের সমালোচনা ঝড় উঠেছে।