মীরসরাই থেকে রাতারাতি পালিয়েছে আওয়ামী জাহেলীয়াত’র নেতা- সন্ত্রাসীরা, রয়ে গেছে তাদের দোসর- প্রেতাত্মারা

দেশের খবর
Spread the love
Print Friendly, PDF & Email
image_pdfimage_print

এম, এ কাশেম, মীরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি দিনকাল’ উত্তর চট্টগ্রামের মীরসরাই থেকে গত ৫ আগষ্ট বিকাল থেকে রাতারাতি পালিয়েছে আওয়ামী জাহেলীয়াত’র নেতা-সন্ত্রাসীরা, রয়ে গেছে তাদের দোসর-প্রেতাত্মারা! আর সে কারণে, মীরসরাই উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভা এলাকায় চলমান রয়েছে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দখলবাজী সহ নানাবিধ: অপকর্ম।
৫ আগষ্ট বিকাল বেলা আকস্মিক ভাবে লীগ’র সভানেত্রী ও আওয়ামী সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পলায়নের পর এবং তার নের্তৃত্বাধীন আওয়ামী সরকারের পতনের পর একযোগে প্রায় সব এলাকা থেকে আওয়ামী নেতা-কর্মী ও তৎ দলীয় সন্ত্রাসী-ক্যাডাররা পালিয়ে যায়। কয়েক দিন গা ডাকা থাকার পর এলাকার বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মী নামধারী গুটি কতেক সুবিধাবাদীদের সাথে বিশেষ সখ্যতার সুবাদে বিগত সময়ে মানুষের আরামের ঘুম হারাম করা কিছু আওয়ামী নেতা-পাতি নেতা এলাকায় ফিরে এসে পূর্বেকার ন্যায় গোপনে বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে তা বিএনপি ও জামায়াতের ঘাড়ে চাপায়। ওই সব সন্ত্রাসীদের গোপন মিশনিয় অপকর্মের কারণে পুরো মীরসরাই ব্যাপী অশান্তি সৃষ্টির দাবানল ছড়িয়ে দেয়া হয়। যার ফলশ্রুতিতে বিএনপি’র আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-সংঘাতে একের পর এক ঘটনা ঘটে প্রাণহানি ও ঘটে। ঘটনায় আহত হয় কয়েকজন নেতা-কর্মী ও। ওই সব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় বিএনপি’র মধ্যে থাকা এক নেতার নের্তৃত্বে থাকা সাধারণ নেতা-কর্মীরা একে অন্যকে দায়ী করেন।
মুলত: আওয়ামী দোসররা ওই সব ঘটনার ইন্ধন যুগিয়ে বিএনপি’র আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-সংঘাতের সৃষ্টি করে। এ অবস্থা পুরো মীরসরাই উপজেলা ব্যাপী চলমান থাকায় দলের জেলা উপজেলা থেকে শুরু কেন্দ্রীয় নের্তৃবৃন্দ সহ বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে বাধ্য হন।
মুলত: আওয়ামী দোসররা মীরসরাই উপজেলার প্রতিটি এলাকায় অবস্থান করে নানাবিধ: বিতর্কিত কর্ম পরিচালনা করে বিএনপি’র রাজনীতি কে ক্ষতির দিকে ধাবিত করে চলেছে। এমনতরো অবস্থায় বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে বিস্তারিত অবহিত হয়ে হস্তক্ষেপ করে দলের কেন্দ্রীয় নীতি নির্ধারকদের কড়া নির্দেশ প্রদান করলে কেন্দ্রীয় ভাবে দু’চারজন নেতা কে বিষয়টি সরেজমিন প্রত্যক্ষ করে তদন্ত সাপেক্ষ ব্যবস্থা নিতে পাঠানো হয়। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর নির্দেশনা মোতাবেক
দায়িত্ব প্রাপ্ত নের্তৃদ্ধয় মীরসরাই এসে ঘটনার বিষয় নিয়ে উভয় গ্রুপিয় নেতা-কর্মীদের সাথে কথা বলে তাদের কে খানিকটা থ্রেড ও দিয়ে যায়। যার কারণে উত্তেজনা প্রশমিত হয়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে বর্তমানে কিছু টা শীতলাভাব দেখা যাচ্ছে। সূত্র মতে- বিএনপি’র মধ্যে এমন কিছু নেতা-কর্মী রয়েছে যারা বিগত আওয়ামী সরকারের দুঃশানামলে রাস্তায় না থাকলেও ৫ আগষ্টের পরে তারা রাস্তায় এসে দলের দুঃসময়ের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের কোণঠাসা করে নিজেরা নিজেদের ফায়দা লুটে নেয়ার প্রতিযোগিতায় মত্ত হয়ে পড়ে। আর তাদের ঘাড়ে শোয়ার হয়ে বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে বিএনপি’র রাজনীতি কে মানুষের কাছে হেয় প্রতিপন্ন করে তুলে। তাদের মাথা ভারী আস্ফালন এর সুযোগ নেয় গ্রুপ ভারী করার লোভী গুটি কতেক নেতা-খর্মী নামধারীরা। যেখানে বিতাড়িত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, দখলবাজ সহ পূর্বেকার বিভিন্ন অপকর্মের হোতাদের এলাকা থেকে বিতাড়ন করার কথা সেখানে গুটি কতেক স্বার্থান্বেষী নেতা-কর্মী নামধারীরা নিজেদের গ্রুপ ভারী করে নিজ দলীয় অপর পক্ষ কে ঘায়েল করার হীন মানসে ওই সব আওয়ামী সন্ত্রাসীদের তাদের গ্রুপিয় দলের ভিতর জায়গা করে দেয়া কোনো অবস্থাতেই মেনে নেয়ার মতো নয় বলে বিএনপি’র প্রবীণ ও ত্যাগী সাধারণ নেতা-কর্মীরা মনে করেন। বাস্তবিক খবর নিয়ে দেখলে দেখা যাবে-বিএনপি’র নাম বিকিয়ে মীরসরাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় যতোগুলো অপকর্ম করা হচ্ছে তার সবগুলো-ই ওই সব সন্ত্রাসীদের দ্বারা সংঘটিত হচ্ছে। আর তাতে পুরোটাই দুর্নাম এর ভাগীদার হতে হচ্ছে বিএনপি’কে।
এই অবস্থা চলতে থাকলে আগামী নির্বাচনে বিএনপি’র পক্ষে ধানের শীষ এর জন্য মানুষের কাছে ভোট চাইতে গেলে নানাবিধ: প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে দলীয় নেতা-কর্মীদের।
দলীয় একাধিক সূত্র জানায়, কোনো ক্রমেই যেনো ওই সব আওয়ামী দোসররা বিএনপি’র কোনো শাখা উপ-শাখা কমিটি গুলোতে স্থান না পায়। এবং বিগত সময়ে যাদের হুমকি ধামকি ও সন্ত্রাসী হামলার কারণে বিএনপি’র কোনো নেতা-কর্মীরা এলাকায় থাকতে পারেনি সেই আওয়ামী দোসররা যেনো এলাকায় ও থাকতে না পারে। এবং বিএনপি’র যে সব নেতা-কর্মীরা ওই সব আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সাথে সখ্যতা বজায় রেখে চলে তাদের বিরুদ্ধে ও দলীয় ভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *