বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

দেশের খবর
Spread the love
Print Friendly, PDF & Email
image_pdfimage_print

মো:সিরাজুল ইসলাম পলাশ
লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় জোর করে অন্যের জমি দখল করার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে।

সোমবার (৫ আগস্ট) গভীর রাতে উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কারণে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতন হলে
বিএনপি নেতা হুমায়ন কবির মতি জোরপূর্বক অন্যের জমি দখল করে।
অভিযুক্ত হুমায়ন কবির মতি ওই উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব বলে জানা যায়।
তবে ওই বিএনপি নেতা দাবী করেন তার ভাতিজার ক্রয়কৃত জমি তিনি উদ্ধার করেছেন ।
সরেজমিন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর,সোমবার গভীর রাতে বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবির মতি ও ডাক্তার দুলাল,হারুন ও তাদের লোকজন মোটরসাইকেল যোগে এসে স্থানীয় শহীদ আলী, শহিদুলসহ পাচটি বাড়িঘর ও দোকান পাটভাংচুর ও লুটপাট করে।
শহিদুল দাবী করে বলেন,আমাদের বাড়ি ভাঙচুর করে টাকা পয়সা লুট করে নিয়ে যায়। এ-সময় আমাদের জীবননাশের হুমকি দেয়,যদি এখান থেকে চলে না যাইস তোদেরকে শেষ করে দিব।পরে আমরা জীবন বাঁচাতে ওখান থেকে পালিয়ে যাই। এখন আমার মা-বাবা ইউনিয়ন পরিষদের বারান্দায় ঘুমাচ্ছে।আমাদের আর কোন জমি জায়গা নাই।
এ জমি নিয়ে লালমনিরহাট জেলা জজ আদালতে মামলা চলমান তাই জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু ও প্রশাসনের কাছে এর সঠিক বিচার চাই।
এলাকাবাসী আনোয়ারা বেগম জানান,ওই চাচা-চাচি বহুদিন থেকে দেখি তারা বাড়ি করে আছেন। তাদের এখন থাকার জায়গা নাই। তাদের খাওয়ারও জায়গা নাই। আমরা যা পাচ্ছি তাদেরকে খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। তাদের কাছে এই জমির কাগজ আছে । তাদের উচ্ছেদ করার সঠিক বিচার চাই।
স্থানীয় সুত্রে আরও জানা যায় হুমায়ন কবির মতি স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা লাভলু প্রামানিকের যোগসাজশে ওই এলাকার আবু সেলিমের জমিতে ঘর করতে গেলে জেলা বিএনপির সদস্য ব্যারিস্টার হাসান রাজিব প্রধান বাধা দেন। আবু সেলিমের জমিটি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান আছে বলে জানান স্থানীয়রা।
ফকিরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি সদস্য হুমায়ুন কবির মতি জানান, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগের প্রভাব দেখিয়ে আমাদের জমি দখল করে। তারা আমাদের জমি দশ বছর ধরে বসতবাড়ি করেছিলেন। তাই আমরা এই জমি দখল ধরেছি।
এ সময় তিনি জমির খাজনা খারিজ সবকিছু তাদের আছে বলেও দাবি করলেও দেখাতে পারেনি।
হাতীবান্ধা উপজেলা বিএনপির আহব্বায়ক মোশারফ হোসেন জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই তবে দখলের ঘটনাটি সত্য হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *