বন্দীত্বের তেতাল্লিশতম দিন আজ,ছোট্ট রাহাকে ফিরিয়ে আনতে রাষ্ট্র কি উদাসীনই থাকবে?

Spread the love
Print Friendly, PDF & Email
image_pdfimage_print

নিজস্ব প্রতিবেদক
গুমোট পরিস্থিতি কেটে গিয়ে বাংলাদেশ আবার স্বাভাবিকতায় ফিরে এসেছে।সকল শ্রেণি পেশার মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে।
কিন্তু স্বস্তি বা শান্তি নেই সাংবাদিক কন্যা রাহার পরিবারে।কোন অপরাধ না করেও ভারতের সেফ হোমে বন্দী বারো বছরের ছোট্ট রাহা।আজ ২৫ জুলাই রাহার বন্দীত্বের চুয়াল্লিশতম দিন।এতোগুলা দিন পেড়িয়ে গেলেও কেউ কথা রাখেনি।আসামের গুয়াহাটিস্থ বাংলাদেশ উপহাইকমিশন সেই সতেরো জুন থেকে রাহার পিতাকে আশ্বাস দিয়ে আসছেন,আমরা চেষ্টা করছি বলে।
প্রকৃত অর্থে তাঁরা কোন চেষ্টাই করেননি।এমনকি রাহার পিতা অনেক অনুনয় করে তাঁদের নিকট জানতে চেয়েছিলেন,তাঁর ছোট্ট মেয়েটা গুয়াহাটির কোন সেফ হোমে আছে তার খোঁজ দিতে।
তাঁরা সেটিও দেননি।

রাহার পিতা জানিয়েছেন,কলম একাডেমি লন্ডন নামের একটি সাহিত্য ও মানবিকতার চর্চা করা সংগঠনের একজন সদস্য হিসেবে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা কবি ও শিক্ষাবিদ প্রফেসর নজরুল ইসলামকে নিজের অসহায়ত্ব শেয়ার করলে তিনি আসামের একজন আইনজীবী,মনিষা নামের একজন সোশ্যাল ওয়ার্কার ও তিনজন স্বেচ্ছাসেবী মোট পাঁচজনকে রাহার ছবি পাঠিয়ে গুয়াহাটির সবগুলো সেফ হোম খুঁজে রাহাকে বের করার দায়িত্ব দেন।তাঁরা ছাব্বিশটি সেফ হোম খুঁজে রাহাকে খুঁজে বের করতে সমর্থ হয়।এবং দীর্ঘ পঁয়ত্রিশ দিন পর হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ভিডিও কলে বাপ-বেটির সাক্ষাৎ হয়।

গত সতেরো জুলাই সেই সাক্ষাতে রাহা ও হোমের ডিরেক্টর মহিলা উভয়েই যতো দ্রুত সম্ভব রাহাকে ফিরিয়ে নিতে বলেন।রাহা তাঁর পাপাকে জানায়,আমি ভালো নেই পাপা।দয়াকরে আমাকে নিয়ে যাও।সামনে ডিরেক্টর উপস্থিত থাকায় সে গতানুগতিক কথা ছাড়া কিছু বলেনি।কিন্তু রাহার পিতা বলেন,ওঁর শরীরের প্রতিটি পশম কিছু একটা বলতে চাইছিলো,কিন্তু পারেনি।

মেয়েকে ফিরিয়ে আনতে দ্বারে দ্বারে ঘুরতে ঘুরতে রাহার পিতা এখন আশাহত হয়ে পড়েছেন।তিনি বলেন, একটি মাত্র ফোন কলের দূরত্বে আমার মেয়ের ফিরে আসা আটকে আছে। যদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গুয়াহাটি বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে একটি কল করে রাহাকে মুক্ত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়, তাহলে
একদিনেই রাহা মুক্ত হয়ে ফিরে আসতে পারে।
আসামের সেই আইনজীবী এডভোকেট সুরজিত হোয়াটসঅ্যাপে
এই প্রতিবেদককে বলেন,হাইকমিশন যদি আন্তরিক হয়,তাহলে ছোট্ট মেয়েটাকে একদিনেই বের করে বর্ডার পার করে ওঁর বাবার হাতে তুলে দিতে পারে।
প্রশ্ন হলো,তাঁদের সেই আন্তরিকতা দেখবো আমরা কবে?
নিরপরাধ ছোট্ট মেয়েটা আর কতোদিন বন্দী হয়ে থাকলে রাষ্ট্রের ঘুম ভাঙবে বলেও জানান দৈনিক আমাদের জন্মভূমি পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক এবং সাংবাদিক সমাজ রাজশাহী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *