কবিতা নয়,জীবনের আর্তনাদ

Spread the love
Print Friendly, PDF & Email
image_pdfimage_print

সাংবাদিক — রাসেল আদিত্য
তুমি কিছু বলোনি বা বলবার সুযোগ পাওনি,
কিন্তু আমি তোমার অব্যক্ত প্রতিটি কথা
উপলব্ধি করতে পেরেছি।
তোমার প্রতিটি চাহনি,শরীরের এমনকি
প্রতিটি পশমও চিৎকার করে বলতে চাইছিলো
বিগত পঁয়ত্রিশ দিনের সবকিছু।
আমি স্পষ্ট বুঝতে পারছিলাম।
ভেতরটা আনন্দের জায়গায় বিষাদে ভরে গিয়েছে।

একচল্লিশ মিনিট কথা হয়েছে ভিডিও কলে,
চাইলে আরও আধঘন্টা বলাই যেতো।
কিন্তু আমি তোমাকে বিদায় জানাতে নানান
কৌশলের আশ্রয় নিয়ে বিদায় বলেই দিলাম।

সেই থেকে আমার মস্তিষ্ক কেবলই একটা
ভাবনায় আটকে আছে,
কেমন করে কতো দ্রুত তোমাকে ফেরানো যায়?
মা-গো,
সারাটা রাত একটি সেকেন্ড আমি ঘুমুতে পারিনি।
কেমনে ঘুমাই বলো?
আমার তিন সন্তানের মধ্যে তুমিই যে
সবচেয়ে বেশি আমার সান্নিধ্যে বেড়ে উঠেছো।
তাই তোমার প্রতিটি গতিবিধি আমার মুখস্থ।

কেবল “পাপা” হলে হয়তো আমার ঘুম আসতো,
কিন্তু আমি যে তোমার “আম্মি” ও!
আমার চোখ কিছু বোঝেনা মা,
কেবলই কান্না করে!

মা
তোমার পাপা বলছি।
আমি নিজের জীবনের বিনিময়ে হলেও
তোমাকে মুক্ত করে ফিরিয়ে আনবো ইনশাআল্লাহ।
আর একটু সবুর করো কলিজা🖤

১৭ জুলাই ২০২৪ ইং।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *