মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে ডিজিটাল বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন, স্মার্ট বাংলাদেশের রূপকল্প দিয়েছেন। বললেন, (জুনায়েদ আহমেদ পলক এমপি)

দেশের খবর
Spread the love
Print Friendly, PDF & Email
image_pdfimage_print

মোঃ ফরহাদ হোসেন খলিল
স্টাফ রিপোর্টার গাজিপুর
আজ বাংলাদেশের যা কিছু অর্জন, সবকিছুই এসেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে। আজ থেকে ৫০ বছর আগে, জাতিসংঘের ২৯ তম অধিবেশনে সারাবিশ্ব কেমন হতে পারে তার একটি দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক মুক্তির পথ ধরে ভবিষ্যৎ উন্নত, উচ্চ আয়ের সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের দিকনির্দেশনা আমাদেরকে দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য দৌহিত্র, ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট, তারুণ্যের গর্ব, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ‘খুঁজে নাও পছন্দের কর্মক্ষেত্র, বেছে নাও নবপ্রযুক্তি, কাজে লাগাও নিজের উদ্ভাবনী শক্তি, অনুকরণ নয়, ছড়িয়ে দাও উদ্ভাবন’।

১৯৯২ সালে বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিলো তখন খালেদা জিয়া বিনামুল্যে সাবমেরিন কেবল সংযোগ পাওয়ার সুযোগটা হাতছাড়া করেছিলো শুধু জ্ঞানের অভাবে তিনি সেইসময় বলেছিলেন, বাংলাদেশ নাকি সাবমেরিন কেবলে যুক্ত হলে বাংলাদেশের সব তথ্য পাচার হয়ে যাবে হয়তো ওনার ধারনা ছিলোনা, কোনটা সাবমেরিন জাহাজ, কোনটা যুদ্ধ জাহাজ আর কোনটা সাবমেরিন কেবল। তার জ্ঞানের অভাবের কারনে সেই সময় তিনি সাবমেরিন কেবল নিতে চান নাই।

আগামীর বাংলাদেশ হবে সমস্যা সমাধানকারী, সৃজনশীল, উদ্ভাবনী, তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বের অন্তর্ভুক্তিমূলক স্মার্ট বাংলাদেশ। আমাদের আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগের ভিত্তি রচনা করে গিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ রুপকল্পে আমাদের নিজস্ব আর্থ অবজারভেটরি স্যাটেলাইট, ডিফেন্স স্যাটেলাইট, সিকিউরিটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ঘোষণা করেছেন। আগামী ৪ বছরের মধ্যে আমরা মহাকাশে বঙ্গবন্ধু-২ স্যাটেলাইট মহাকাশে উৎক্ষেপণ করতে চাই, যেটি সুরক্ষার পাশাপাশি পরিবেশ ও জলবায়ু, দুর্যোগ মোকাবিলা এবং পরিকল্পনার ক্ষেত্রে আমাদেরকে সহযোগিতা করবে।

২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ অভিযাত্রায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে আমরা ৪টি স্তম্ভের উপর কাজ করার নির্দেশনা পেয়েছি। আমাদের স্মার্ট নাগরিকরা শুধুমাত্র উচ্চশিক্ষিত বা আর্থিকভাবে সচ্ছল না হয়ে প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক, সৃজনশীল, দেশপ্রেমিক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ, সমস্যা সমাধানকারী হিসেবে গড়ে উঠবে। স্মার্ট অর্থনীতি হবে ক্যাশলেস, ট্রান্সপারেন্ট, ডিজিটালি ইন্টারকানেক্টেড। স্মার্ট সরকার হবে পেপারলেস, দুর্নীতিমুক্ত, ফেসলেস; সরকারের সকল সেবা থাকবে আমাদের স্মার্টফোনে। স্মার্ট সমাজব্যবস্থা হবে বঙ্গবন্ধুর সেই বৈষম্যমুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক; যেখানে শহর-গ্রামের দুরত্ব, নারী-পুরুষের বৈষম্য থাকবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০২৩ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের প্রথম সভায় আমাদেরকে ১৫টি ক্ষেত্র নির্ধারণ করে একটি সমন্বিত দীর্ঘমেয়াদী-মধ্যমেয়াদী-স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনা দিয়েছেন।

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ স্মার্ট অর্থনীতির সম্ভাবনার জায়গা হচ্ছে এখানে সারাবিশ্বের বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে আগ্রহী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’। সেটাকে বিবেচনা করে আমরা সকল সংসদীয় আসনে বিগত সময়ের ধারাবাহিকতায় স্মার্ট এমপ্লয়মেন্ট এন্টারপ্রেনারশিপ ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় ৫ লক্ষ পরিবারের অন্তত একজন ছেলে বা মেয়ের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দিয়ে ভবিষ্যৎ আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। www.gbrainbd.ai এই ওয়েব অ্যাড্রেস থেকে এআইকে জিজ্ঞেস করলে বাংলাদেশের বাজেট সম্পর্কে যেকোনো প্রশ্নের উত্তর এবং নির্দেশনা পাওয়া যাবে। আমরা আগামীদিনে স্মার্ট পার্লামেন্ট গড়ে তুলতে চাই। ডাক ও টেলিযোগাযোগ খাতে ২৪২০ কোটি টাকা এবং আইসিটি বিভাগে ২৮৭২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং মাননীয় অর্থমন্ত্রী মহোদয়কে ধন্যবাদ জানান
জুনায়েদ আহমেদ পলক এমপি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *