ব্যবসায়ীদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার আশ্বাস গভর্নরের

Spread the love
Print Friendly, PDF & Email
image_pdfimage_print

জন্মভূমি নিউজ ডেস্ক
ডলারের মূল্যবৃদ্ধিতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশ ব্যাংক বিশেষ সুবিধা দেবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুব আলম।
তিনি বলেন, ডলারের দাম একসঙ্গে সাত টাকার বাড়ানোর ফলে যে পরিমাণ ঋণ বেড়েছে, সে পরিমাণ টাকার দীর্ঘমেয়াদি ঋণের আবেদন করা হয়েছে।
কারণ ডলারের দাম বাড়ার কারণে ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় কিছু গ্রাহকের একক ঋণ গ্রহণসীমা অতিক্রম করেছে। বিষয়টি সমাধানে ব্যাংক এবং গ্রাহকভিত্তিক বিশেষ সুবিধা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন গভর্নর। ফান্ডেড এবং নন ফান্ডেড মিলে ২৫ শতাংশের বেশি ঋণ একজন গ্রাহক না পাওয়ার শর্ত থাকলেও এ পরিস্থিতিতে তাদের জন্য বিশেষ বিবেচনা করা হবে।

ডলারের দাম বাড়ায় এখন ব্যবসায়ীরা ১১৭ টাকায় এলসি খুলতে পারছেন কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, যদি কোনো ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বেশি টাকা নেওয়া হয় তাহলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অভিযোগ করতে বলা হয়েছে। তাহলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রয়োজনে বাজারে হস্তক্ষেপ করার ইঙ্গিত দিয়েছেন গভর্নর। গভর্নর ব্যবসায়ী নেতাদের জানিয়েছেন, ঋণের সুদ হার সর্বোচ্চ ১৪ শতাংশের ওপরে যাবে না।

এফসিসিআই সভাপতি বলেন, ঘন ঘন নীতি পরিবর্তনের কারণে ব্যবসায়িক পরিকল্পনায় বিপত্তি তৈরি হয়। এ সময় গভর্নর আশ্বাস দিয়েছেন, এখন থেকে নীতিমালা স্থিতিশীল থাকবে; আর পরিবর্তন হবে না। সুদের হার বাজারভিত্তিক করা হলেও এটাকে ১৪ শতাংশের ওপরে যেতে দেওয়া হবে না বলে গভর্নর আশ্বাস দিয়েছেন। যাতে ব্যবসায়ীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত না হন, তেমন ব্যবস্থা নেওয়া হবে ভবিষ্যতে।

গত ৮ মে ব্যাংক ঋণের সুদহার নির্ধারণ পদ্ধতি সিক্স মান্থ মুভিং অ্যাভারেজ রেট (স্মার্ট) প্রত্যাহার করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই নির্দেশনার ফলে এখন থেকে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণের সুদহার নির্ধারিত হবে। এর ফলে সুদ বাড়বে বলে বৈঠকে ব্যবসায়ী নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

গভর্নরের সঙ্গে বৈঠকে অংশগ্রহণকারী অপর ব্যবসায়ী নেতা বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ডলারের দাম বেশি হওয়ায় আমরা এলসি খুলতে পারছি না। এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ড কমিয়ে তিন বিলিয়নে নামিয়ে আনা হয়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) না থাকলেও বেশ কয়েকটি তহবিল রয়েছে, সেখান থেকে সুবিধা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি কোনো ব্যাংক ডলারের নির্ধারিত দামের অতিরিক্ত দাম নিলে এ বিষয়ে অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান কচি, বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি জসিম উদ্দিন এবং প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহসান খান চৌধুরীসহ শীর্ষ ব্যবসায়ীরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *