মোহনপুরে খাসপুকুরে জমি থাকার পরেও ইজারা পেল না বিধবা ছানোয়ারা

Spread the love
Print Friendly, PDF & Email
image_pdfimage_print

মোহনপুর প্রতিনিধ
রাজশাহী মোহনপুর উপজেলায় খাস পুকুরে ব্যক্তিগত জমি থাকার পরেও জলমহল কমিটির অবহেলার কারণে পুকুর ইজারা পেলেন বিধবা ছানোয়ারা বেওয়া।

এ বিষয়ে ররাজশাহী জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছেন ভুক্তভোগী বিধবা ছানোয়ারা বেওয়া। খাসপুকুর ইজারাকে কেন্দ্র করে কেশরহাট পৌরসভার বর্তমান কাউন্সিল ছাবের আলীর আলী মন্ডলের নেতৃত্বে ফুলশো গ্রামের মোতাহার আলীসহ কয়েকজন ব্যক্তি মিলে বিধবা ছানোয়ারার ছেলে পিয়ার উদ্দিনকে রাতে মারপিট করা হয়েছে।

মারপিটের ঘটনায় মোহনপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন ও থানায় অভিযোগ সূত্র গেছে, মোহনপুর উপজেলার ফুলশো মৌজার ৬২ শত খাস পুকুরের মধ্যে ছানোয়ারা বেওয়ার ব্যক্তি গত ১৫ শতক জমি রয়েছে। এই সূত্রে বিগত প্রায় ছয় বছর উপজেলার জলমহল কমিটির মাধ্যমে ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করে আসছিলেন। কিন্তু ১৪৩১ সাল হতে ১৪৩৩ সাল পর্যন্ত ইজারা নেওয়ার জন্য রায়ঘাটি সেতু বন্ধ মৎস্য জীবি সমবায় সমিতির মাধ্যমে আবেদক করেন। সেতু বন্ধন মৎস্য জীবি সমবায় সমিতির কাগজপত্রের সমস্যা দেখিয়ে জলমহল কমিটি তাকে পুকুরটি ইজারা না দিয়ে অন্য সমিতিকে খাসপুকুরটি ইজারা প্রদান করেন। অথচ রায়ঘাটি সেতু বন্ধন মৎস্য জীবি সমবায় সমিতির মাধ্যমে একটি পুকুর ইজারা প্রদান করেছেন জলমহল কমিটি। এতে করে খাসপুকুরটি বিধবা ছানোয়ারা বেওয়াকে ইজারা না দিয়ে তার সাথে বৈষম্য করা হয়েছে।

ছানোয়ারা বেওয়া বলেন, স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে ছেলের প্রতিবন্ধী মেয়ে নিয়ে চরম সংকটের মধ্যে দিয়ে সংসার চলাতে হয়। বিগত ছয় বছর পুকুরটি ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করে সংসার চালিয়ে আসছিলাম। পুকুরটি ইজারা না পেয়ে চরম দুচিন্তার মধ্যে রয়েছি। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জলমহল কমিটির সভাপতি আয়শা সিদ্দিকা বলেন, জলমহল কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে উক্তি পুকুরটি ইজারা প্রদান করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন বিষয়টি আমার জানা নেই

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *