সুজাউদৌলা ডিগ্রী কলেজের এডহক কমিটি গঠনে বহিরাগতদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

শিক্ষা
Spread the love
Print Friendly, PDF & Email
image_pdfimage_print

মোঃ শাকিল আহামাদ রাজশাহী
রাজশাহী নগরীর আলহাজ্ব সুজাউদ্দৌলা ডিগ্রি কলেজের এডহক কমিটি গঠনে বহিরাগত দের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন অত্র কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধক্ষ্য সহ কয়েকজন শিক্ষকবৃন্দ।
রোববার দুপুর ১২ টায় কলেজের শিক্ষক রুমে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অত্র কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আলমগীর হোসেন। এছাড়া লিখিত বক্তব্যের প্রেস রিলিজে কলেজ পরিবারের পক্ষ থেকে স্বাক্ষর করেন শামীম আরা বেগম মিঠু।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে কলেজ পরিবার থেকে জানানো হয়, আলহাজ্ব সুজাউদ্দৌলা ডিগ্রি কলেজটি ১৯৯৫ সালে নগরীর তেরখাদিয়া এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হয়। আলহাজ্ব সুজাউদ্দৌলা সাহেবের ৫ সন্তান কলেজের অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন কলেজটি যখন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তখন মরহুম আখতারুজ্জামান বাবলুর মেয়ে ফৌজিয়া আবিদা জেসি ও ফৌজিয়া আক্তার জিসা গত ২৩ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে কিছু বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধক্ষ্যকে কলেজের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র দেয়ার জন্য চাপ দেয় এবং মোবাইলে ভিডিও লাইভ করে ভারপ্রাপ্ত অধক্ষ্যের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এছাড়াও ফৌজিয়া আবিদা জেসি ও ফৌজিয়া আক্তার জিসা কলেজের শিক্ষকদের গালাগালি করে এবং ফাইলপত্র ফেলে র‍্যাব-পুলিশ ডেকে ভারপ্রাপ্ত অধক্ষকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার হুমকি দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলেন জেসি কলেজে কোন জমি দান না করে পূর্বের কমিটিতে জোর পূর্বক প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারের নিয়ম অনুযায়ী প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আলহাজ্ব সুজাউদ্দৌলা সাহেবের জীবিত সন্তানদের মধ্যে থেকে হতে হবে। এই দাবি কলেজে শিক্ষক ও কর্মচারীবৃন্দদেরও কিন্তু ফৌজিয়া আবিদা জেসি কলেজের ৪৫ শতক জমি জোরপূর্বক দখল করে নিজে ভোগ দখল করছে এবং মাস্তান বাহিনী দিয়ে জমি পাহারা দেয়। এছাড়াও সংবাদ সম্মেলন অভিযোগ করেন জেসি ও জিসা কলেজের টাকা উত্তোলন করে নিজের কাছে রেখে খরচ করে। আয় ব্যায়ের হিসাব কাউকে দেয়না। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটিকে পাশ কাটিয়ে নিজের অনুগত কমিটি তৈরি করে কলেজ পরিচালনায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। জেসির শ্বশুর মো.আব্দুল লতিফকে গায়ের জোরে বিদ্যুৎসাহী সদস্য হয়ে শিক্ষকদের কাছে থেকে প্রতিমাসে ১হাজার টাকা চাঁদা দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। এসব অনিয়মের প্রতিবাদ করলে জেসি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধক্ষ্যসহ অন্যান্য শিক্ষক কর্মচাচারিদের সাথে খারাপ আচরণ ও মাস্তান বাহিনী দিয়ে হুমকি দিতে থাকে। যার ফলে আজ কলেজে শিক্ষকবৃন্দ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি জানান সংবাদ সম্মেলনে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত কলেজ পরিবারের পক্ষ থেকে সকল ষড়যন্ত্রের নিরসন ঘটিয়ে কলেজের উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করে।
সংবাদ সম্মেলনে আনিত অভিযোগের বিষয় নিয়ে ফৌজিয়া আবিদা জেসির সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে “তিনি সংবাদ সম্মেলনে তাদের বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি জানান, সেই সাথে তিনি আরও জানান, তাদের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ আছে প্রকৃত সত্য প্রকাশ করার।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আলমগীর হোসেন, মাওলানা হাবিবুর রহমান ( ইসলাম শিক্ষা শিক্ষক) , আখতার উদ্দিন বাচ্চু ( শরীর চর্চা শিক্ষক), শামিম আরা বেগম মিঠু ( প্রতিষ্ঠাতা সদস্য), নিয়াজ আহম্মেদ (হিসাব বিজ্ঞান), ড. এস এম ওয়াহেদ আলী ( জীব বিজ্ঞান) শিক্ষকসহ অত্র কলেজের কর্মকর্তা ও কর্মচারিবৃন্দ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *