কলেজ পরিদর্শকের সাক্ষর টেম্পারিং ও নানা অনিয়ম করেছে অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন:

শিক্ষা
Spread the love
Print Friendly, PDF & Email
image_pdfimage_print

নিজস্ব প্রতিনিধি:
নওগাঁ জেলাধীন নিয়ামতপুর উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের বালাতৈড় গ্রামে অবস্হিত ‘বালাতৈড় সিদ্দিক হোসেন ডিগ্রি কলেজ’ এই কলেজের নানা অভিযোগে অভিযুক্ত ও বহু সমালোচিত অর্থ লোভী অধ্যক্ষ ড. মো: আমজাদ হোসেন কলেজ পরিদর্শক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়,গাজীপুর এর সাক্ষর টেম্পারিং করে ভুয়া নিয়োগ দিয়েছেন যা প্রমাণিত হয়েছে একাধিক তদন্তে। জানা যায় যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গত ২৮/০৬/২০১৫ খ্রি: তারিখ এবং স্মারক নং ০৭(র-৭০৭) জাতী: বি:/ ক:প:/২০৭০৯ তে প্রফেসর ড. মো: শামসুদ্দীন ইলিয়াস, কলেজ পরিদর্শক ( ভারপ্রাপ্ত), জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর এর জারিকৃত এই চিঠিতে বৈধ ৬ টি বিষয় যথা- ১. ইসলামের ইতিহাস, ২.অর্থনীতি,৩. সমাজ কর্ম, ৪. গার্হস্থ্য অর্থনীতি, ৫ . মনোবিজ্ঞান ও ৬. ভূগোল নিয়োগের জন্য অধ্যক্ষ মো: আমজাদ হোসেন, বালাতৈড় সিদ্দিক হোসেন ডিগ্রি কলেজ, নিয়ামতপুর, নওগাঁ বরাবর প্রেরণ করা হয়। সেই মোতাবেক উক্ত কলেজ বিধি অনুযায়ী ঐ সময় বৈধ নিয়োগ সম্পূর্ণ হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে অধ্যক্ষ ড. আমজাদ হোসেন ( যখন আর নিয়োগ ক্ষমতা ছিল না) অর্থ লোভে পড়ে উপরোক্ত চিঠির কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর ড. মো: শামসুদ্দীন ইলিয়াস এর সাক্ষর টেম্পারিং করে একাধিক বিষয় পরিবর্তন করে ৮ টি বিষয় বসিয়ে মোটা অংকের বিনিময়ে ভুয়া নিয়োগ দিয়েছেন অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন।
আরো জানা যায় যে গত ২৬/০৭/২০১৫ তারিখের বৈধ চিঠির ডিজির প্রতিনিধি স: ম: আব্দুস সামাদ আজাদ, অধ্যক্ষ ( ভারপ্রাপ্ত), সরকারি বি.এম.সি মহিলা কলেজ, নওগাঁ এর সাক্ষর টেম্পারিং করেছেন এবং কলেজ গভর্নিং বডির গত ২২/০৮/২০১৫ তারিখের রেজুলেশন টেম্পারিং করে ও অন্যান্য বিধি মোতাবেক কার্যক্রমে ব্যত্যয় ঘটিয়ে ৫ টি ভুয়া বিষয় যথা- বাংলা, ইংরেজি, দর্শন, সমাজ কর্ম ও ভুগল বিষয়ে ভুয়া নিয়োগ দিয়েছে অর্থ লোভী অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন।
আরো জানা যায় যে, উক্ত কলেজের বৈধ নিয়োগ প্রাপ্ত জনাব মোঃ এরশাদ আলী, প্রভাষক- অর্থনীতি এর এমপিও ভুক্তি সংক্রান্ত আবেদনে কাগজপত্রে ও গভর্নিং বডির রেজুলেশন টেম্পারিং করা ও অন্যান্য বিধি মোতাবেক কার্যক্রমে ব্যত্যয় করার বিষয়টি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ( মাউশি) ঢাকা তে প্রভাষক মো: এরশাদ আলীর অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ শুনানি কালে প্রমাণিত হওয়ায় মাউশি অধিদপ্তর থেকে সর্বশেষ ০১/০৪/২০২৪ তারিখের চিঠিতে অধ্যক্ষ ড. মো: আমজাদ হোসেন, ইনডেক্স নং- R840239 এর এমপিও Stop Payment করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে অধ্যক্ষ নিজের অপরাধ লুকানোর জন্য ও শাস্তি থেকে বাঁচতে প্রভাষক এরশাদ আলীর বিরুদ্ধে মিথ্যা নানা ষড়যন্ত্র ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে আসছেন বেশ দিন থেকে

জানা যায় এর আগে প্রভাষক মো:এরশাদ আলীর অধ্যক্ষের অনিয়মের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রেক্ষিতে একাধিক তদন্ত টিম সরেজমিনে কলেজে তদন্তে এসে অধ্যক্ষের অনিয়মের প্রমাণ পান। তদন্ত সময় অধ্যক্ষ কলেজ ছেড়ে পলাতক ছিলেন বলে জানা যায়।

মহান এই কলেজ টি ১৯৭০ সালে বালাতৈড় গ্রামের মহান ব্যক্তি জনাব আলহাজ্ব মো: সিদ্দিক হোসেন প্রতিষ্ঠা করেন। কলেজ প্রতিষ্ঠাতা মহোদয় দীর্ঘ দিন ধরে কানাডায় থাকেন। বর্তমানে তিনি অধ্যক্ষের নানা অনিয়ম ও কলেজর শিক্ষার অবনতি দেখে আফসোস করছেন এবং অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন এর স্হায়ী বরখাস্তসহ যথাযথ আইনী প্রয়োগের দাবি করছেন।
অন্যদিকে আরো জানা যায় যে, কলেজ প্রতিষ্ঠাতা মহোদয়ের পরিবারের সদস্য ও আপন ভাতিজা জনাব মোঃ আ: হাকিম, কলেজ মার্কেটের ব্যবসায়ী গণ এবং কলেজ এলাকায় আমজনতা অধ্যক্ষ কর্তৃক কলেজর অর্থ আত্মসাৎ এর বিরুদ্ধে দুদক চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত পরবর্তী কাজ চলমান রয়েছে। কলেজের যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ সম্পদ রয়েছে বলে জানা যায়।

উল্লেখ্য যে উক্ত কলেজের বর্তমান গভর্নিং বডির সভাপতি যতীন্দ্র মোহন প্রামাণিক তিনি মাঝখানে বলেন যে অধ্যক্ষের লজ্জা নাই, অধ্যক্ষের শাস্তি হবেই।শিক্ষক প্রতিনিধি বিধান কুমার বলেন যে অধ্যক্ষ কথা দিয়ে কথা রাখে না, অধ্যক্ষের কথা ভালো লাগে না ইত্যাদি। অন্যান্য সদস্য বৃন্দগণও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কথা বলেন যার রেকর্ড প্রমাণ রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে গভর্নিং বডির সভাপতি, শিক্ষক প্রতিনিধি ও এবং অন্যান্য সদস্য বৃন্দগণ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা গ্রহণ না করে অধ্যক্ষের অনিয়মের পক্ষে ও অধ্যক্ষের সাথে কাজ করায় গভর্নিং বডি অধ্যক্ষের অনিয়মের সাথে জড়িত তা প্রমাণ করে। বর্তমানে কলেজে শিক্ষার সার্বিক অবনতি পরিলক্ষিত হচ্ছে বলে জানা যায়।

মহান এই বালাতৈড় সিদ্দিক হোসেন ডিগ্রি কলেজের স্বার্থে ও শিক্ষার সার্বিক উন্নয়ন ফিরে আনতে ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে কলেজ প্রতিষ্ঠাতা মহোদয় ও তিনার পরিবারের সদস্য ও ভাতিজা, উপাধ্যক্ষ, শিক্ষক, ছাত্র/ ছাত্রী, ছাত্র অভিভাবক ও কলেজ এলাকার বয়ষ্ক মানুষ সহ সকল শ্রেণী ও পেশার মানুষরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি দাবি করছেন অধ্যক্ষ ড. মো: আমজাদ হোসেনের স্হায়ী বরখাস্ত সহ যথাযথ আইনী ব্যবস্হা গ্রহনের দাবি করছেন। অন্যদিকে বর্তমান গভর্নিং বডির পরিবর্তন করে নতুন গভর্নিং বডি গঠনের দাবি উঠেছে সকল মহলে। সেই সাথে অধ্যক্ষ কর্তৃক অনিয়মের জন্য বেতন বঞ্চিত বৈধ নিয়োগ প্রাপ্ত প্রভাষক মো: এরশাদ আলী (অর্থনীতি) এর ক্ষতি পূরণ সহ বেতনের দাবি করছেন আমজনতা, এরশাদ আলী নিজে ও তাঁর নিজ পরিবার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *