মোঃ ইলিয়াস মোল্লা
আজ ১৬ ই এপ্রিল ২০২৪ রোজ মঙ্গলবার গাজীপুর টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন থেকে।
আজ পবিত্র ঈদুল ফিতরের ষষ্ঠতম দিনে ও কর্মময় মানুষগুলো ফিরতেছে ব্যস্ততম শহর ঢাকা ও ঢাকার আদলে গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে কর্মরত অবস্থানরত কর্মময় ব্যস্ততম অফিসগুলোতে কর্মজীবী ও দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষগুলো ফিরতে শুরু করেছে নারীর টানে বাড়ি ফেরা সেই মানুষগুলো।
সবার সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি শেষে, আজ ঈদের ষষ্ঠতম দিনেও বাড়ি থেকে ফিরে আশা মানুষ গুলোর উপচে পড়া ভিড় ছিল ট্রেনগুলোতে এবং বাস স্ট্যান্ডগুলো তেও ছিল পর্যাপ্ত যাত্রীর চাপ।
উল্লেখ্য আছে যে আপনারা জানেন যে বাংলাদেশ রেলওয়ের দুটি অঞ্চল রয়েছে পূর্ব এবং পশ্চিম। ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া টঙ্গী জয়দেবপুর জংশন স্টেশন হয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের ময়মনসিংহ গামী ট্রেনগুলো মোটামুটি বিলম্ব না নিয়ে খুব একটা বেশি যাত্রী চাপ না নিয়ে চলাচল করতে ছিল। যাত্রীদের ও কোন প্রকার হয়রানি বা কোন প্রকার কষ্ট ভোগান্তি খুব পোহাতে হয়নি। তবে ফিরতি পথে লোকাল এবং আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতেও ছিল পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিড় ছাদে বাফারে ইঞ্জিনে দাঁড়িয়ে থেকে যাত্রীদের অনেকেরই অনেক ধরনের অসুবিধা হয়েছে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানা যায়।
এ কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে ঈদ পুনর্মিলনী থেকেই যথাসময়ে ট্রেনগুলোর সাপ্তাহিক অফ ডে অর্থাৎ ছুটির দিন কাটানো প্লাস পাশাপাশি অতিরিক্ত স্পেশাল ঈদ স্পেশাল ট্রেনগুলো না থাকায়।
এবং বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে (যমুনা) সেতু হয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিম অঞ্চলে চলাচলকারী ট্রেনগুলো যেমন লালমণী, রংপুর, কুড়িগ্রাম,ও বুড়িমারী এক্সপ্রেস এবং দিনাজপুর হয়ে পঞ্চগড় অভিমুখী চলাচলকারী আন্তঃনগর ট্রেনগুলো অল্প সংখ্যক বিলম্বসময়ে নিয়ে চলাচল করতে ছিল তবে যাত্রীদের ছিল উপচে পড়া ভিড়। কেউ কেউ বলেন টিকেট পেয়ে কেউ কেউ ট্রনে উঠতে পারেনি অনেকে সি ট পেয়েও সিটে পর্যন্ত গিয়ে বসতে পারেনি । ও ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা টঙ্গী জংশন রেলওয়ে স্টেশন হয়ে পূর্বাঞ্চলীয় চট্টগ্রাম অভিমুখী এবং সিলেট অভিমুখী আন্তঃনগর ট্রেনগুলো মোটামুটি সময় ছেড়ে গেছে এবং লোকাল ট্রেনগুলো একটু বিলম্বে চলিতেছে।
এবং খুলনা হয়ে ঢাকা রোডে চলাচল করে ট্রেনগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণ যাত্রীর চাপ নিয়ে চলাচল করছিল তবে তেমন একটা বিলম্ব ছিল না। তবে যাত্রীদের উচ্চাপাড়া ভিড়ের কারণে অনেকে টিকিট কেটেও ছিট পেয়েও সিট পর্যন্ত গিয়ে বসতে পারেনি অনেকে ট্রেনেও উঠতে পারেনি স্টেশন গুলোতে ছিল প্রচুর পরিমাণে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়।তবে আবার পশ্চিমাঞ্চলের কিছু কিছু ট্রেনগুলোতে বাড়ানো হয়েছে অতিরিক্ত এক্সট্রা বগি।
তবে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলো মোটামুটি বিলম্ব নিয়া চলাচল করলেও ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলোতে তেমন একটা যাত্রীদের চাপ ছিল না তবে মোটামুটি ফাঁকাও ছিল না যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধা ছিল টিকেটের ও কোন হয়রানি মূলক ঘটনা শোনা যায়নি। সর্বোপরি বলা যায় যে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাড়ি ফেরা কর্মমুখী মানুষগুলোর কর্মস্থলে ফিরতে এখনো পর্যন্ত কোনো প্রকার ট্রেন দুর্ঘটনার কথা শোনা যায়নি বলে সবাই অত্যন্ত আনন্দিত এবং খুশি ও আনন্দ ভাগাভাগি শেষে খুশিমুখে হাসিমুখে কর্মস্থলে ফিরতে পেরে শান্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পেরেছেন বলে ট্রেনে ভ্রমণকারী যাত্রীরা অনেকেই বাংলাদেশ রেলওয়ে কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।