স্টাফ রিপোর্টার
রাম বাবু বর্মন
জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্যমন্ডিত স্থান পাথর ঘাটা। এক সময় মহীপাল রাজার রাজধানী ছিল পাথর ঘাটা। কয়েকশ বছরের পুরাতন জনপদ এটি। ইসলাম প্রচারে মধ্যপ্রাচ্য থেকে এখানে এক সুফী সাধকের আগমন ঘটে। মৃত্যুর পর পাথরঘাটাতেই তাকে দাফন করা হয় পাঁচবিবি উপজেলা সদর হতে ৬ কিঃ মিঃ পূর্বে তুলশীগঙ্গা নদীর পশ্চিম পার্শ্বে প্রাচীন সভ্যতার ধ্বংসাবশেষপূর্ণ পাথরঘাটার অবস্থান। নদী পরিবেষ্টিত পাথরঘাটা স্থানীয়ভাবে কসবা উচাই ও মহীপুর নামে পরিচিত ।
অনুমান করা যায় তুলশীগংগা নদীর সৃষ্টির ফলে প্রাচীন এই বিশাল ইমারতগুলি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে । বর্তমানে খ্রীস্টান মিশনারীজ ভবনের মাত্র ৩০০ গজ দূরে একটি ঐতিহাসিক মাজার ও একটি মন্দির আছে । এলাকাবাসী এই মাজারকে পীর কেবলা নাছির উদ্দিনের মাজার ও হিন্দু সম্প্রদায় নিমাই পীরের দরগাঁ বলে দাবী করেন ।
তবে বর্তমানে এখানে পুকুরের কোন অস্তিত নেই । ধারণা করা হয় এই নওপুকুরিয়াতেই ঐতিহাসিক পাথরঘাটার প্রাচীন প্রশাসনিক/আবাসিক ভবন ছিল । পাল বংশীয় রাজা প্রথম মহীপাল ( ৯৮৮- ১০৮৩) এর নামানুসারে স্থানটি মহীপুর হয়েছে বলে কিংবদন্তী চালু আছে । ওই স্থানে ও নদীতে রয়েছে অসংখ্য ছোটবড় পাথর এবং বড় বড় রেইন্ট্রি গাছ। সবুজের সমারোহে ঘেরা পাথরঘাটার মনোরম পরিবেশ দেখে যে কেউ বিমোহিত হয়ে পড়েন। প্রতিদিন লোকজন এখানে ঘুরতে আসে। আবার কেউ মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করে। প্রতি বছর একবার ওরশ ও হিন্দুদের চানের মেলা অনুষ্ঠিত হয়।