সন্তানকে ফেলে প্রেমিকের হাত ধরে পালালো গৃহবধূ জন্মভূমি ডেক্স

Spread the love
Print Friendly, PDF & Email
image_pdfimage_print

সন্তানকে ফেলে প্রেমিকের হাত ধরে পালালো গৃহবধূ

জন্মভূমি ডেক্স

কথায় বলে প্রেম কোনো বাধা মানে না। মাঝেমধ্যে কিছু ঘটনা হয়তো এ কথারই প্রমাণ দেয়। সম্প্রতি রাজশাহী ১৯ নং ওয়ার্ডের নিউ কলোনি এলাকায় শিশু সন্তানের মায়া ত্যাগ করে প্রেমকে গুরুত্ব দেওয়ার মতোই একটি ঘটনা ঘটেছে। ৩০ বছর বয়সী দুই সন্তানের এক জননী পালিয়েছেন তার প্রেমিক শাউনের হাত ধরে।

যে নারী পালিয়েছেন তার নাম শারমিন খাতুন। নগরীর চন্দ্রিমা থানাধীন নিউ কলোনি এলাকার মো: মানিকের স্ত্রী। মানিক গত দুই মাস থেকে একটি মামলায় জেলে থাকার কারণে এ সুযোগটিকে কাজে লাগিয়েছেন তিনি। স্ত্রী পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় মানিকের মা বাদি হয়ে থানায় অভিযোগ করেন।

অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন, মানিকের স্ত্রী গত ১৬ ফেব্রুয়ারি তার বাবার বাড়ি নওগাঁ জেলার চৌবাড়িয়া গ্রাম থেকে বাসে করে বাসায় ফিরেন। সেইদিন সন্ধ্যায় ওষুধ কিনার নাম করে বাসা থেকে বের হয়ে যান শারমিন। আর যাবার সময় কিস্তির সব টাকাও নিয়ে গেছেন তিনি।

মানিক দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে। এদের মধ্যে ছেলে আলিফের বয়স ৯ বছর। সে জাগো ফাউন্ডেশন স্কুলের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র। আর মেয়ের বয়স ৫ বছর সে নারর্সারীতে পড়ে। স্ত্রী পালিয়ে যাবার ঘটনায় অবাক হলেও এখনও তাকে ফিরে পেতে চান মানিকের মা। কারণ ছেলে জেল থেকে ফিরে এলে স্ত্রী হারানোর বেদনা সহ করতে পারবেনা। ঘটাতে পারে আত্মহত্যার মত ঘটনাও বলে জানিয়েছেন মানিকের মা। তবে পালিয়ে যাওয়া যুগলের খোঁজে পুলিশ কোন কাজ করছেনা বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

এব্যাপারে মানিকের ছেলে মো. আলিফ জানায়, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি তার নানা বাড়ি নওগাঁ জেলার রাধানগর থেকে ভ্যানে করে চৌবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ডে আসেন। সেখানে অপেক্ষায় ছিলেন প্রেমিক শাউন ও নাম না জানা এক ফর্সা মহিলা। এক সাথে বাসে উঠেন তারা এবং রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা দেন। আলিফকে তার মায়ের পাশের সিটে বসতে দেখে প্রেমিক শাউন তাকে পেছনের সিটে বসতে বলেন। আলিফ তাতে রাজি না হলে তার সাথে খারাপ আচারণ করে শাউন। পরে শারমিন খাতুনের কথায় ওই ফর্সা মেয়ের পাশে বসেন তিনি। আলিফ তার মাকে লোকটির সম্পর্কে জানতে চায়। লোকটি তার বাবার বন্ধু বলে জানান শারমিন খাতুন।

তবে পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরে পারিয়ে যাওয়াটা রহস্যজনক বলে মনে করছেন অনেকে।

এব্যাপারে চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাবুব আলম বলেন, এঘটনায় থানায় অভিযোগ হয়েছে কীনা আমার জানা নেই। অভিযোগ থাকলে তা অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *