জন্মভূমি ডেস্ক :
শীত শেষে রাজধানীর বাজারগুলোয় উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে শীতকালীন সবজি৷ আগাম গ্রীষ্মকালীন সবজি পাওয়া গেলেও দাম আকাশচুম্বী। তবে আলুর দামে স্বস্তি ফিরেছে।
প্রকারভেদে কেজিতে ৫ টাকা কমে ২৬ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আলুর দাম কমলেও ঝাঁঝ কমেনি পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের।সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শ্যামবাজার, সূত্রাপুর, রায়সাহেব বাজার, ধূপখোলা মাঠ বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পবিত্র শবে বরাতের ছুটির জন্য বাজারগুলোয় ক্রেতাদের উপস্থিতি কম দেখা গেছে। ক্রেতা কম থাকলেও কমেনি কোনো সবজির দাম৷ বরং শীতকালীন প্রতিটি সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। এছাড়া গ্রীষ্মকালীন সবজিগুলো ১০০ টাকার নিচে কিনতে পারছেন না ভোক্তারা।
বাজারগুলোতে প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, শিম ৫০ থেকে ৮০ টাকা, ফুলকপি-বাঁধাকপি প্রতিটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ব্রকলি ৫০ টাকা, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ৪০ টাকা, লাউ ৬০ থেকে ১০০ টাকা, বেগুন ৮০ থেকে ১০০ টাকা, করলা ১৪০ টাকা, ঢেঁড়স ১২০ টাকা, বরবটি ১৪০ টাকায়, কাঁচা টমেটো ৩০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৫০ টাকা, খিরাই ৬০ থেকে ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধনে পাতা কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, পেঁয়াজের কলি ৫০ টাকা এবং গাজর ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া গ্রীষ্মকালীন সবজির মধ্যে কচুরমুখী ১০০ টাকা, শসা ১০০ টাকা, ধুন্দুল ১০০ টাকা, জালি কুমড়া ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, ঝিঙা ১০০ টাকা, পটল ১৪০ টাকা এবং সজনে ডাটা ২৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। লেবুর হালি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে।
এছাড়া বাজারগুলোয় লাল শাক ১৫ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ টাকা, মুলা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, কলমি শাক ১০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে রায়সাহেব বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. কালাম বলেন, ছুটির জন্য বাজারে ক্রেতাদের উপস্থিতি কম, ফলে বেচাকেনা কম৷ শীতকালীন সবজি এখনও বাজারে পাওয়া যাচ্ছে তবে দাম বেড়েছে৷ পাশাপাশি গ্রীষ্মকালীন সবজিও আছে কিন্তু দাম বেশি। শুধু আলুর দাম কমেছে। অন্যসব সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে।
এদিকে পেঁয়াজের মৌসুম শুরু হয়েছে। তারপরও সংকট দেখিয়ে বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি। আর আমদানি করা ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিকেজি চায়না আদা ১৮০ টাকা ও ইন্ডিয়ান আদা ২০০ টাকা কেজি। প্রতিকেজি চায়না রসুন ১৮০ টাকা ও দেশি রসুন ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
সূত্রাপুর বাজারের আলু, পেঁয়াজ, আদা ও রসুন বিক্রেতা বলরাম দাস বলেন, বাজারে এখন নতুন আলু পাওয়া যাচ্ছে। তাই ৫ টাকা কমে প্রকারভেদে প্রতিকেজি আলু ২৬ টাকা থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে৷ আলুর দাম কমলেও কমেনি পেঁয়াজের দাম। এখন পেঁয়াজের মৌসুম তারপরও কমছে না দাম।
তিনি আরও বলেন, আজকে বাজারে ক্রেতা কম। কারণ, গতকাল সারারাত শবেবরাতে নামাজ পড়েছে আজকে ছুটির দিন এজন্য কেউ সকালে বাজারে আসেনি বিকেলে কিছু ক্রেতা আসবে বলে জানান তিনি।