রাজশাহীতে ‘জুলাই-৩৬’ পরিষদের আত্মপ্রকাশ হয় আহ্বায়ক কাদেরী-সদস্য সচিব জুয়েল

রাজনীতি
Spread the love
Print Friendly, PDF & Email
image_pdfimage_print

রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি
ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার থেকে জুলাই-৩৬ এর মতো সদা জাগ্রত থেকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল প্রকার ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রাখতে ও দেশের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কাজে যুক্ত হয়ে সৃজনশীল মানুষ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে রাজশাহীতে আত্মপ্রকাশ ঘটেছে ‘জুলাই-৩৬’ পরিষদ নামের একটি নতুন সংগঠনের। সংগঠনটির আহ্বায়ক নির্বাচিত হয়েছেন মাহমুদ জামাল কাদেরী ও সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান জুয়েল।

সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার নগরীর অংশু বুক ক্যাফেতে রাজশাহীর সর্বস্তরের সুশীলদের সমন্বয়ে একটি ইফতার ও কমিটি সম্পর্কিত আলোচনা সভা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ‘জুলাই-৩৬’ পরিষদ কমিটির ঘোষণা করা হয়।

কমিটিতে উপদেষ্টা পরিষদের রয়েছেন ৭ জন। তারা হলেন- প্রফেসর শেখ মো. নুরুল্লাহ, প্রখ্যাত গবেষক ও লেখক মাহাবুব সিদ্দিকী, আইনজীবী ও সমাজসেবক হোসেন আলী পিয়ারা, প্রবীণ সাংবাদিক ও সাহিত্যিক মো. নাযিব ওয়াদুদ, আইনজীবী পারভেজ তৌফিক জাহেদী, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী আতিকুর রহমান ও নাজমুল হোসেন রাজু।

১৫ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটিতে আছেন- আহ্বায়ক মাহমুদ জামাল কাদেরী, যুগ্ম আহ্বায়ক-১ মো. মোসতাক রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক-২ রাশেদ রাজন, সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান জুয়েল ও মূখ্য সংগঠক ফয়সাল আহমেদ। এছাড়া নির্বাহী সদস্য হিসেবে আছেন- মো. বাবর হোসেন সরকার, আরিফুজ্জামান আরিফ, মো. আব্দুল কাদের উৎসব, হাবিবুল্লাহ মোহাম্মদ কাওসারী, মো. আব্দুস সালাম জনি, মো. মাসুদ রানা, মো. আজিজুল ইসলাম ফিরোজ, ইশিতা ইয়াসমিন, ইমদাদুল হক লিমন, অনির্বান ইসলাম ইমন।

সভায় ‘জুলাই-৩৬’ পরিষদ এর সংগঠকেরা বলেন, হাসিনার পতনের পর দেশে নতুন করে অসংখ্য ফ্যাসিস্ট তৈরি হয়েছে। এমনকি জুলাই-আগস্ট বিপ্লোবত্তর প্রেক্ষাপটে দেখা গেছে, প্রায় প্রতিটি মানুষ-ই ফ্যাসিস্টের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। দেশে ছিনতাই, রাহাজানি, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, টেন্ডারবাজি, খুন-ধর্ষণ সহ নানান অপরাধ দানা বেঁধেছে। প্রশাসন আবারো রাজনৈতিক ব্যক্তির ক্রীড়ানকে পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি দানা বেঁধেছে। সমাজ থেকে এসব ফ্যাসিস্ট কার্যাবলী দূর করতে হলে আমাদের আবারো ঐক্যবদ্ধ হতে হবে ‘জুলাই-৩৬’ এর চেতনাকে ধারণ করে। ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ শক্তিকে পুণরায় সমাজে প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।

সভায় বরেণ্য ব্যক্তিদের বক্তব্য শেষে ৭ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা মন্ডলীদের নাম ও ১৫ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির নাম পড়ে শোনার মূখ্য সংগঠক ফয়সাল আহমেদ। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রদান ও সংগঠনের হিতার্থে কমিটির সদস্য সংখ্যা সংযোজন কিংবা বিয়োজন হতে পারে বলেও জানান তিনি। বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের ইতি টানেন উপদেষ্টা নাযিব ওয়াদুদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *