রাজশাহীতে চাকুরী দেওয়ার নাম করে ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ

রাজশাহী
Spread the love
Print Friendly, PDF & Email
image_pdfimage_print

নিজস্ব প্রতিবেদক :
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে চাকরি দেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে সরকারী চাকুরী দেওয়ার নাম করে বুলবুল হোসেন ও তার আত্মিয় স্বজনদের কাছ থেকে ৪৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক জিয়ারুল ইসলাম জিয়া। সে জেলার কাটাখালি থানাধীন মাসকাটাদীঘি এলাকার ইয়াদ আলীর ছেলে।

ভুক্তভোগি বুলবুল হোসেন নগরীর রাজপাড়া থানার গোলজারবাগ এলাকার জয়নাল আলীর ছেলে। মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর একটি রেস্তোরায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বুলবুল হোসেন লিখিত বক্তব্যে বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরী নিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে গত ২০২২ সালের ১৫ জানুয়ারি পূর্বালী ব্যাংক কাটাখালি শাখার হিসাব নাম- নাফি নিহান ফার্মেসী, হিসাব নং-৩২৯৫৯০১০১০৬৮৩ ও ২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর চেকের মাধ্যমে (ব্যাংক চেক নং ৮৪৩৯৫২২) ২৫ লাখ টাকা এবং ২০২৪ সালের ২০ জানুয়ারি চেকের মাধ্যমে (চেক নং ৮৪৩৯৫২৩) ২০ লাখ টাকা নেয়।

ওই সময় বুলবুলের আত্মীয় তুষার আহম্মেদ বলেন, সাবেক সিটি মেয়রের এইএসএম খায়রুজ্জামান লিটন তার খুব কাছের। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সেকশন অফিসার পদে চাকুরী নিয়ে দেওয়া কোন ব্যাপার না। যার কারণে সে এবং তার বোন কাফেলার চাকুরী জন্য নগদ অর্থ ৪৫ লাখ টাকা জিয়াউরকে দেয়। তুষারের অভিভাবক হিসাবে বুলবুল দায়িত্ব নিয়ে অভিযুক্তের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে।

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় এই বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের যে কোন পদে নিয়োগ দেওয়া তার কাছে কোন বিষয় না বলে বুলবুলকে আশ্বস্ত করে। চাকরি না হলে জিয়াউল হক বলেন, দুটি চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে নেওয়ার পরামর্শ দেয়। কিন্তু ব্যাংকে গিয়ে দেখা যায় ওই হিসাব নাম্বারের কোন টাকা নেই।

স্থানীয় আওয়ামী নেতা জিয়াউলের কাছ থেকে পাওনা টাকা ফেরতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়ে বুলবুল আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পুনরাই তার নিকট পাওনা টাকা ফেরত চাওয়া হয়। কিন্ত সে বলে, পরিস্থিতি ভালো না, সরকার ক্ষমতায় নেই, প্রয়োজনে তার জমি বিক্রয় করে টাকা দিব। কিন্তু টাকা ফেরত দেওয়ার কোন পদক্ষেপ নেই। উল্টো আমাদের পরিবারকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। এছাড়াও সত্য ঘটনাকে মিথ্যা ব্যাখ্যা দিয়ে সাধারন মানুষের কাছে সহানুভুতি নেওয়ার চেষ্টার নতুন ফাঁদ বুনছে।

এ ব্যাপারে জানতে জিয়াউলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *