নিজস্ব সংবাদদাতা
রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের কিছু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় ঠিকাদাররা। গতকাল সোমবার বেলা ১২ টায় রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠিকাদার সমিতির সভাপতি সফিউল আলম বুলুর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি খন্দকার হাসান কবির, সহ-সভাপতি আলী আজম, শাকিলুর রহমান শাকিল, জিয়া উদ্দিন আহম্মেদ জিয়া ও খাজা তারেক সিজার, সাধারণ সম্পাদক শাহীন ইকবাল, সহ-সাধারণ সম্পাদক রহিম রেজা রানা ও শরিফুল ইসলাম বাবু।
আরো উপস্থিত ছিলেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হক হারু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুজ্জামান আরিফ, অর্থ সম্পাদক সোহেল রানা দিপু, ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক জিল্লুর রহমান, আইন বিষয়ক সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিক মমিন, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক কাজী ছোটন, প্রচার সম্পাদক আসলাম উদ্দীন, সহ-প্রচার সম্পাদক পলাশ, সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ পারভেজ, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সেলিম রেজা রাজু, সহ-ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আবু জাফর আলমঙ্গীর বাবু, দপ্তর ও তথ্য সম্পাদক শেখ আবু জাফর টুটু, সহ-দপ্তর ও তথ্য সম্পাদক রাকিব হাসানসহ সকল সদস্য ও সাধারণ ঠিকাদারগণ।
মানববন্ধনে ঠিকাদার নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে বলেন, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে পতিত সরকারের আমলের কিছু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান একক ভাবে কাজ করে গেছে। তারা জাল সনদ তৈরি করে জমা দিয়ে টেন্ডারবাজী করে কাজ নিয়েছেন। আবারও সেই সনদে কাজ পেতে নির্বাহী প্রকৌশলীদের চাপ প্রয়োগ করেছে। নেতৃবৃন্দ আরও দাবি করেন, সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত পিপিআরের সংশোধন না হলে এই ধারা অব্যাহত থাকবে। কাজেই পিপিআর সংশোধন জরুরী বলে উল্লেখ করেন তারা।
তারা আরো বলেন, দীর্ঘ পনের বছর তাদের পানি উন্নয়ন বোর্ডে প্রবেশ করতে দেয়নি আওয়ামী ঠিকাদারগণ। এখনো সেই প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছেন। তারা সেই আমলের প্রতিটি সনদ দেখে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান। তারা আরো বলেন, বিগত সরকারের আমলের ঠিকাদাররা অনেক টাকা মালিক। আওয়ামী বিএনপিদের টাকা খাইয়ে সাথে নিয়ে নব্য বিএনপি সাজার চেষ্টা করছেন ঐ ঠিকাদাররা। আর এ কাজে সহযোগিতা করছেন বিএনপি’র কিছু নেতাকর্মী।
তারা আরো বলেন, বিগত বিএনপি সরকারের সময়ে এই প্রতিষ্ঠানে সুন্দরভাবে এবং নিয়মানুযায়ী টেন্ডার হতো এবং প্রায় সকল ঠিকাদার পর্যাক্রমে কাজ পেতেন। এখন তা নেই বলে জানান তারা। তারা আরো বলেন, রাজশাহীতে নেই কোন কলকারাখানা। আয়ের পথ খুব সিমিত। রাজশাহীতে অনেক ঠিকাদার আছেন যারা রাজশাহীর বাহিরের বড় বড় ঠিকাদারদের চাপে পড়ে কাজ পায়না। এখন আবার অন্তবর্তীকালীন সরকার থাকায় বড় ধরনের কোন কাজ বের হচ্ছেনা। ছোট ছোট কাজে বাহিরের বড় বড় ঠিকাদারদের অংশগ্রহন করতে নিষেধ করলেও তারা টেণ্ডার ড্রেপ করেছে বলে উল্লেখ করেন তারা।
ঠিকাদার নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, পতিত সরকারের আমলের ঠিকাদারগণ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আওয়ালীগকে অর্থ দিয়েছে। যারা দেশের এবং জনগণের শত্রু তারাই যদি আবারও কাজ পায় তাহলে আন্দোলন করে দেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করে লাভ হলো কি। ভূয়া সনদকারী ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে পানি উন্নয়ন বোর্ডে নির্বাহী প্রকৌশলীকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তারা।