ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করায় ছাত্রলীগ ও সাংবাদিকের নামে ভুক্তভোগী ছাত্রদল নেতাদের থানায় অভিযোগ

দেশের খবর
Spread the love
Print Friendly, PDF & Email
image_pdfimage_print

নিজস্ব সংবাদদাতা:
গত ১২ ইং ডিসেম্বর অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগো নিউজ ২৪, ডেইলি ক্যাম্পাস, দৈনিক যুগান্তর, রাজবার্তা, ঢাকামেইল পত্রিকায় ছাত্রদল নেতাদের নামে কোনো সত্যতা ও প্রমান ছাড়াই মনগড়া চাদাবাজির একটি সংবাদ প্রকাশ করে। সংবাদে ছাত্রলীগ নেতা মনিরুল ইসলাম জয় এবং ছাত্রলীগ নেতা সাব্বির হোসেনের একপাক্ষিক ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রমূলক মানহানিকর তথ্যের মাধ্যমে ছাত্রদল নেতাদের অভিযুক্ত করে সংবাদ প্রচার করা হয়।
এ ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী জাকির হোসাইন বলেন, জয় এবং সাজু তারা আমার ডিপার্টমেন্টের ছোটভাই এবং একে অপরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
জয় সাজুর থেকে কিছু টাকা ধার নিয়েছিল, সাজু সেই টাকা বিভিন্ন সময় চাইলে জয় টাকা দিতে গড়িমসি করে।
একপর্যায়ে আমাকে জানালে তারা উভয়েই আমার কাছে আসে এবং আমি বিষয়টা সমাধান করে দেই। যেহেতু জয় টাকা নেওয়ার কথা তখন স্বীকার করে বিধায় সে টাকা সাজুকে ফেরত দেয়। তারপর তারা উভয়েই চলে যায়। পরবর্তীতে জয় (জিয়া হল ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক) ডিপার্টমেন্টের ব্যাক্তিগত ইস্যুকে রাজনৈতিক ইস্যু বলে চালিয়ে দেয়। এবিষয়ে সাজু বলেন, এটা চাদাবাজির টাকা নয়। আমি আমার বন্ধুর কাছ থেকে টাকা পেতাম, সে টাকা দিতে গড়িমসি করতো। জাকির ভাইকে জানানোর পর তিনি জয়ের স্বীকারোক্তির প্রেক্ষিতেই বিষয়টা সমাধান করে দেন। হয়তো পাওনা টাকা পরিশোধ করেছে সে মন:ক্ষুন্ন হয়ে সে এখন মিথ্যা ও মনগড়া সংবাদ উক্ত পত্রিকার সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রকাশ করেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রদল নেতা তাকবীর আহমেদ ইমন বলেন, এই ঘটনার সাথে আমার সংশ্লিষ্ট থাকার কোনো সুযোগেই নেই। আমি বাসা থেকে হলের দিকে যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে রুয়েট সংলগ্ন বাইপাসে জাকির ভাই আমাকে ডাক দেন এবং আমরা চা পান করি। উনার সাথে তার বিভাগের ছেলেরা ছিল, আমি তাদের কেউকেই তেমন চিনতাম না। আমরা দুজন একান্তই ব্যাক্তিগতভাবে চা খাই, এবং বিষয়টা তাদের বিভাগের অভ্যন্তরীণ হওয়ায় আমাকে তিনি চলে যেতে বলেন এবং আমি আমার হলে ফিরে আসি। বাকিটাসময় আমি হলে এবং স্টেশনবাজার এলাকায় অবস্থান করি।
উক্ত অভিযোগ মিথ্যা, মনগড়া, ভিত্তিহীন এবং এর কোনো সত্যতা না থাকায় ছাত্রদল নেতারা ষড়যন্ত্রকারী ছাত্রলীগ নেতা ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মতিহার থাকায় পৃথক পৃথক দুটো অভিযোগ দায়ের করেন এবং বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনে মানহানির মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *