দেশের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রাখতে জামায়াত বদ্ধপরিকর: মাওলানা আবদুল হালিম

রাজনীতি
Spread the love
Print Friendly, PDF & Email
image_pdfimage_print

নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেছেন, ‘নতুন বাংলাদেশ গঠনের পথে দেশকে অস্থিতিশীল করতে নতুন নতুন ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। ফলে এখন বিভক্তি নয়, দেশ গঠনে জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন। দেশের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রাখতে জামায়াত বদ্ধপরিকর। দলীয় স্বার্থের বিপরীতে সকলকে দেশের স্বার্থকেই বড় করে দেখতে হবে। নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা হবে। এই লক্ষ্যে জামায়াতের রুকন ও নেতা-কর্মীদের সংগঠন পরিচালনার পাশাপাশি বৈষম্যমুক্ত দেশ ও জাতি গঠনে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।’

শুক্রবার বিকালে মহানগরীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী মহানগরীর উদ্যোগে আয়োজিত সদস্য শিক্ষা বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রাজশাহী মহানগরীর আমীর মাওলানা ড. কেরামত আলীর সভাপতিত্বে এবং রাজশাহী মহানগরীর সেক্রেটারি ইমাজ উদ্দিন মন্ডলের পরিচালনায় শিক্ষা বৈঠকে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও রাজশাহী অঞ্চল পরিচালক মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও রাজশাহী অঞ্চলের সহকারী পরিচালক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম।

শিক্ষা বৈঠকে মহাগ্রন্থ আল-কুরআন থেকে দারস পেশ করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য প্রফেসর ড. নিজাম উদ্দীন।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাহবুবুল আহসান বুলবুল, অধ্যাপক শাহাদাৎ হোসাইন, অধ্যাপক আব্দুস সামাদ প্রমুখ।

মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, জামায়াত কর্মী মানে সমাজ কর্মী। সুতরাং জামায়াতের রুকনদের ও কর্মীদের যার যতটুকু সামর্থ্য আছে, তা নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। জামায়াত সবসময় জুলুমের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে এসেছে। জেল-জুলুম, মামলা-হামলা, নির্যাতন ও হত্যা করেও জামায়াতকে দমন করা যায়নি।

অধ্যক্ষ মুহাম্মদ শাহাবুদ্দিন বলেন, পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকার জামায়াত ইসলামী নেতা কর্মীদের অত্যাচার, জুলুম, নাটক সাজিয়ে নির্যাতন করেছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে জামায়াত নেতাদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছ। ফ্যাসিস্ট সরকার যে ট্রাইব্যুনালে জামায়াত নেতাদের ফাঁসি দিয়েছেন সেই ট্রাইবুনালে স্বৈরাচার হাসিনাসহ সকল খুনিদের বিচার করা হবে। দেশের মানুষ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় সকল দলের শাসন দেখেছে, এবার তারা জামায়াত ইসলামীকে দেখতে চায়।

সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা ড. কেরামত আলী বলেন, রুকনদের আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কাজ করতে হবে। নিজেকে পরিবার ও সমাজের মাঝে উত্তম মানুষ হিসেবে উপস্থাপন করতে হবে। মন্দের জবাব ভালো দিয়ে দিতে হবে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর দেশের মানুষের মধ্যে শোষণহীন সমৃদ্ধ একটি দেশপ্রাপ্তির আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে। তাই যৌক্তিক সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে নির্বাচিত প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *